
ছবিঃ সংগৃহীত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির উদ্যোগে 'Why Research?: Discovering Purpose, Passion, Possibilities' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার অনুকূল পরিবেশ থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গবেষণামুখী। বর্তমান বিশ্বে উচ্চশিক্ষার জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণায় মনোনিবেশ করলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। গবেষণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটে, যা শুধু একাডেমিক নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সরাসরি অবদান রাখে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র। সেই জ্ঞান সৃষ্টি করতে হলে গবেষণা অপরিহার্য। গবেষণার মানে শুধু তথ্য খোঁজা নয়, বরং সমস্যা চিহ্নিত করে কার্যকর সমাধান বের করা। শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।
সেমিনারের প্রথম সেশনে ‘গবেষণার মাধ্যমে একাডেমিক বিকাশ: দক্ষতা, চিন্তাশক্তি ও শিক্ষণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, মানবসভ্যতার প্রতিটি অগ্রগতির পেছনে রয়েছে গবেষণার অবদান। গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্লেষণ, যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যার সমাধান করার সক্ষমতা অর্জন করে—যা তাদের সারাজীবনের পথচলায় সহায়ক হয়।
দ্বিতীয় সেশনে ‘ক্যারিয়ার হিসেবে গবেষণা: বৃত্তি, চাকরি ও উদ্ভাবনের সুযোগ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। তিনি বলেন, গবেষণা এখন আর শুধু একাডেমিক চর্চা নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ক্যারিয়ার ট্র্যাক। গবেষণার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক বৃত্তি, গবেষণাকেন্দ্রিক চাকরি এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের পথ উন্মুক্ত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটির সভাপতি দেবাশীষ অধিকারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসরাত জাহান ও মেহেরুন নেছা কওমী।
সেমিনারে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা গবেষণার সুযোগ, প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন এবং বক্তারা সেসবের প্রাসঙ্গিক ও উৎসাহব্যঞ্জক উত্তর প্রদান করেন।
ইমরান