শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেল
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাবের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মো. মিনহাজুল ইসলাম।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত ৮ নভেম্বর রাত ১ টা ২৩ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থানকালে তাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে অডিও কল দেয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম শেখ।
ওই সময় শামীম তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন এবং একপর্যায়ে হত্যার হুমকি দেন।
হুমকিদাতা শামীম শেখ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের গনিত বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরীন উর্মীর বোনজামাতা।
নওরীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে ছাত্রদলের প্রভাব খাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ড করে আসছে।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের পুনবার্সন করে তার দল ভারী করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
নওরীন তার ওপর হওয়া হামলার অভিযোগ এনে তার বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ দেয়াল নষ্ট করে বিভিন্ন গ্রাফিতি অঙ্কন করে যা দৃষ্টিকটু।
মিনহাজ আরও বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম বাস চাঁপায় নিহত হওয়ার পরে নওরীন শের-ই-বাংলা হাসপাতালে গিয়ে তার নিথর দেহের রক্ত হাতে, গায়ে মেখে কোলে তুলে ছবি তোলা ও ভিডিও করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তার এই ফটোসেশনে বাঁধা প্রদান করায় শিক্ষার্থীদের সাথে হাতাহাতিতে জড়ায় এবং শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হয়।
তার এসকল কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয় এবং গত ৬ নভেম্বর জান্নাতুল নওরীন উর্মীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা চেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি আবেদন পত্রে প্রক্টরকে মাধ্যম করে উপাচার্য বরাবর প্রদান করে যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কারী ও লোক-প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম দাবী করে বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছি কিন্তু আমাদের চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে ছাত্রদল নেত্রী নওরিন সংবাদ সম্মেলন করেছেন যার কোন ভিত্তি কিংবা প্রমাণ নেই৷
বিনা কারনে আমাদের চাঁদাবাজ বলায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ইসরাত