
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুনে মুদ্রাস্ফীতি ৮%, আগস্টে ৭%, এবং ২০২৫ সালের শেষে তা ৫%-এ নেমে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি ৩–৪%-এ নামানো গেলে তা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি বেশি থাকায় তা রেট নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করছে। ভারতের মতো দেশে মুদ্রাস্ফীতি যেখানে ২–৩%, সেখানে বাংলাদেশের জন্যও এই লক্ষ্যে পৌঁছানো জরুরি।
এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, ম্যাক্রোইকোনমিক স্থিতি ও পেমেন্ট ব্যালান্স ঠিক না হলে বিনিময় হার ধরে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি জানান, আগামী বছর বড় ধরনের বাজার হস্তক্ষেপ ও ব্যাংক পুনঃমূলধনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের হস্তক্ষেপ তহবিল ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আমদানি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেই, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে দামের পতনেই ব্যয় কমছে। বিলাসদ্রব্যের ব্যবহারেও তিনি আপত্তি করেননি।
গভর্নর আরও জানান, বিদেশে বাংলাদেশিদের শত শত বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা দেশে ফেরানো না গেলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য রিজার্ভ বাড়ানো জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিনিময় হার বাংলাদেশেই ঠিক হবে, বিদেশে নয়। রেমিটারদের উদ্দেশে বলেন, “ডলার রেট হঠাৎ বাড়বে না, তাই দেরি না করে টাকা পাঠান।”
শেষে ব্যাংকগুলোকে স্কুল পর্যায়ে গ্রাহক তৈরির পরামর্শ দেন, যাতে ভবিষ্যতে তারা বিশ্বস্ত রেমিটার হয়ে ওঠে।
মুমু