ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অর্থবছরের দুই মাস

বাণিজ্য ঘাটতি ৪৫৫ কোটি ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ৪ অক্টোবর ২০২২

বাণিজ্য ঘাটতি ৪৫৫ কোটি ডলার

৪৫৫ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতি

রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৪৫৫ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে চলতি হিসাব ও সামগ্রিক লেনদেনেও ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি ভারসাম্যের হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে রফতানির তুলনায় আমদানি বেশি হয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য উর্ধমুখী। আবার আশানুরূপ রেমিটেন্স প্রবাহ না থাকায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই ও আগস্ট) রফতানি হয়েছে ৮১৩ কোটি ডলার। যা তার আগের অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ২৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
অন্যদিকে এ সময় আমদানি হয়েছে এক হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময় (জুলাই ও আগস্ট) থেকে আমদানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর ফলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪২৮ কোটি ডলার। এর আগে গেল ২০২১-২২ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) দেশে বাণিজ্য ঘাটতি তিন হাজার ৩২৫ কোটি ডলার, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

একই সময় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের ঘাটতিও সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের এ বাণিজ্য ঘাটতির অঙ্ক ছিল ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার। আলোচিত জুলাই-আগস্ট সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। এ সময় সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ১৫১ কোটি ডলার আর ব্যয় হয়েছে ২১৯ কোটি ডলার। সেবা খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ৪৫ লাখ ডলার।
চলতি হিসাবে ভারসাম্য বা কারেন্ট এ্যাকাউন্ট ব্যালান্সেও ঘাটতিতে পড়েছে দেশ। চলতি অর্থবছরে প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) এই ঘাটতির (ঋণাত্মক) অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৪১ কোটি ডলার। তাছাড়া জুলাই-আগস্ট সামগ্রিক লেনদেনে (ওভার অল ব্যালান্সেস) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৬ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে এই সূচকে ২২১ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত ছিল।

আলোচ্য সময়ে ৭৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে বৈদেশিক উদ্যোক্তারা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি ডলার। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) দেশে ৪১৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিটেন্স দেশে এসেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।

×