বিস্কুট ছাড়া অনেকের দিনই চলে না।
অনেকেই আছেন যাদের সকালে বা বিকেলে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না হলে চলেই না। আবার প্রিয়জন বা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় যায়গা করে নেয় বিস্কুট। আর সেই দিনটি যদি হয় একটু স্পেশাল, তাহলে তো আরো ভালো হয়। আর তাই আজ ২৯ মে বিস্কুট দিবসে প্রিয়জনকে নিয়ে এটি খেতে খেতে পার করে দিতে পারেন ভালোলাগার মূহুর্ত।
প্রাচীন গ্রিক, রোমান ও মিসরীয় সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনীর সদস্য ও ব্যবসায়ীদের বছরের একটি দীর্ঘ সময় সমুদ্র কিংবা দুর্গম অঞ্চলে কাটাতে হতো। তখন এমন একটি খাবারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, যা হবে ওজনে হালকা, পর্যাপ্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ এবং সহজে নষ্ট হয় না। বিষয়গুলোর সমন্বিত সমাধান হিসেবে উদ্ভাবিত হয় এই দারুণ খাবার।
বিস্কুট মূলত ময়দা দিয়ে বিভিন্ন আকারে বেক করা হয়। সাধারণত- এগুলো চিনি, চকলেট, জাম, আদা বা দারুচিনির স্বাদ দিয়ে বানানো হয়। এই ছোট বেকড পণ্যটি যুক্তরাষ্ট্রে ও উত্তর আমেরিকার বাইরে বেশিরভাগ ইংরেজিভাষীর কাছে 'কুকি' বা 'ক্র্যাকার' হিসেবে পরিচিত।
সপ্তম শতাব্দীর আগে বিস্কুটকে মিষ্টি খাবার হিসেবে খাওয়ার আধুনিক ধারণার প্রচলন হয়নি। পরে পারস্যরা বিস্কুট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। তারা ময়দার সঙ্গে ডিম, মাখন ও ক্রিম অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করে। এরপর তারা এর সঙ্গে ফল ও মধুর মতো মিষ্টি জিনিস ব্যবহার করে প্রথম কুকিজ তৈরি করে।
১৮৩১ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি হান্টলি অ্যান্ড পামারস বিস্কুটের টিন উদ্ভাবন করে। ফলে, সারা বিশ্বে বিস্কুট রপ্তানি শুরু হয়। ১৯০০ সালের মধ্যে হান্টলি অ্যান্ড পামারসের বিস্কুট ১৭২টি দেশে বিক্রি হয়েছিল।
এমএইচ