আজ আমরা অমর একুশে- মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমাদের শহীদদের আত্মদানের দিনটির ৬৬তম বার্ষিকী পালন করছি। সমকালীন ইতিহাসে এ এক অনন্যসাধারণ ঘটনা এবং আমাদের মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক যাত্রাবিন্দুও বটে। জাতির জন্য গর্বের বিষয় যে, এই দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পালিত হচ্ছে এবং সারা দুনিয়ার মানুষ তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য নতুন করে অঙ্গীকার গ্রহণ করছে।
এই ঐতিহাসিক দিনটিতে আমি সৈয়দ মুজতবা আলীকে স্মরণ করি। আমরা সবাই তাঁকে একজন ব্যঙ্গ সাহিত্য রচয়িতা, একজন রোমাণ্টিক, ভাষাবিদ ও অসাধারণ কাহিনীকার হিসেবে চিনি। তবে খুব কমজনই তাঁকে ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী পুরুষ হিসেবে স্মরণ করি। মুজতবা আলী সমকালীন বাংলা সাহিত্যে যথাযোগ্যভাবে গণ্য হওয়ার মতো একটা নাম। তাঁর ত্রিশটি গ্রন্থের মধ্যে ‘দেশে বিদেশে’, ‘চাচা কাহিনী’, ‘শবনম’, ‘পঞ্চতন্ত্র’, ‘ময়ূরকণ্ঠী’ প্রভৃতি বাংলাদেশ, পশ্চিম বাংলা এবং এর বাইরের বাঙালী পাঠক সমাজের কাছে প্রভূত জনপ্রিয়। তিনি যে বহুমাত্রিক প্রতিভা ও বিশাল বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তির অধিকারী ছিলেন, তার প্রচুর প্রমাণ মেলে এই গ্রন্থাবলীতে। তবে আমাদের ভাষা আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে তাঁর ভূমিকার কথা অনেকেরই জানা নেই। বাংলাকে আমাদের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি প্রথম যারা জানিয়েছিলেন তিনি যে তাদের অন্যতম ছিলেন, সে কথা খুব কম সংখ্যক মানুষই জানেন বা মনে রাখেন।
স্মরণ করা যেতে পারে যে, ব্রিটিশ ভারত বিভাগের আগে কিছু সংখ্যক মুসলমান প-িত ও বিদগ্ধজন উর্দুকে মুসলিম ভারতের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা (যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আন্তর্জাতিক মিশ্রিত ভাষা) করার এক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের লক্ষেèৗ অধিবেশনে বাঙালী মুসলমান নেতারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর ঐ আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে ওঠে। করাচীতে জাতীয় শিক্ষা শীর্ষ বৈঠকে গৃহীত এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করা এবং মিডিয়া ও স্কুলগুলোতে শুধুমাত্র উর্দু ব্যবহার করার পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেয়া হয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালী ছাত্ররা এমন উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং বাঙালী ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমুদ্দুন মজলিসের সম্পাদক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হন। তাঁরা পাকিস্তানের সরকারী ভাষা হিসেবে এবং তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তদানিন্তন রেসকোর্স ময়দানে এক নাগরিক সংবর্ধনায় উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষাÑ এই ঘোষণা দিয়ে আগুনে ঘৃতাহুতি দেন। পাঁচদিন পর ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে একই কথা ঘোষণা করেন। দুটো সভাস্থলেই দর্শক-শ্রোতাদের এক বড় অংশ জিন্নাহর বক্তৃতায় বাধা দিয়ে ওঠেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাষা আন্দোলন শুরু করেন এবং বায়ান্নোর ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের অনেকে মাতৃভাষার জন্য জীবন দেন।
ভাষা আন্দোলন শুরু হওয়ারও আগে ১৯৪৭ সালের ৩০ নবেম্বর অর্থাৎ পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর তিন মাস সময়ও যায়নি, সৈয়দ মুজতবা আলী সিলেট মুসলিম সাহিত্য সংসদের এক সভায় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। রক্ষণশীল লোকজন সে সময় তাঁকে হয়রানি করেছিল ও হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। কিন্তু অদম্য মুজতবা দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে সাহসিকতার সঙ্গে যুক্তি সহকারে তাঁর বক্তব্য পেশ করেছিলেন এবং নিজ দাবি পরিত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
তাঁর নিজ জেলায় কেন তাঁকে হয়রানি করা হয়েছিল, সেটা বুঝতে হলে সে সময় সিলেটে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে। সিলেট পূর্ববঙ্গের অন্যান্য জেলার মতো ছিল না। ওটা ছিল অসমের অংশ। জেলাটি এমনিই পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়নি, বরং একটা গণভোটে অংশ নিতে হয়েছিল। সিলেটীরা বিপুল সংখ্যায় পাকিস্তানে যোগ দেয়ার পক্ষে ভোট দিলেও নিতান্তই লজিস্টিক ভিত্তিতে জেলাটিকে অন্যায়ভাবে ভাগ করা হয়েছিল। এর ৫টি মহকুমার মধ্যে ৪টিÑ সিলেট সদর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ পাকিস্তানকে দেয়া হয় এবং পঞ্চম মহকুমা করিমগঞ্জ দেয়া হয় ভারতকে। সিলেট বিভাজন সিলেটীদের নিদারুণ আঘাত হানে। হাজার হাজার পরিবার তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হয়। রক্ষণশীল শাসকচক্র একটা উন্মাদনা সৃষ্টির জন্য জনগণের এই আহত অনুভূতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল।
সেই টানটান উত্তেজনাকর পরিবেশে মুজতবা আলীর দৃঢ়তার সঙ্গে একথা বলার মতো সাহস ছিল যে, আমাদের জনগণকে তাদের মাতৃভাষা বাংলা ব্যবহার করতে দেয়া উচিত এবং রাষ্ট্রভাষার ছদ্মাবরণে উর্দু বা অন্য কোন বিজাতীয় ভাষা বাঙালীদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন যে, উর্দুকে যদি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমাদের জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়, তাহলে শুধুমাত্র সেই সুবাদে পশ্চিম পাকিস্তানীদের আমাদের শোষণ করার একটা হাতিয়ার জোগানো হবে।
বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রীপ্রাপ্ত এবং দুনিয়া চষে বেড়ানো এই মানুষটি উল্লেখ করেছিলেন যে, সারা বিশ্বের মানুষ মাতৃভাষাতেই নিজেদের মনোভাব ব্যক্ত করার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় খুঁজে পেয়েছে। এখানে তিনি আরবদের ইরান ও তুরস্ক বিজয় থেকে উপমা টেনে উল্লেখ করেছিলেন যে, বিজয়ীরা ওসব দেশে ফার্সি বা তুর্কী ভাষার ওপর আরবি ভাষা চাপিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছিল, ঠিক যেমন মুঘলরাও ভারতে ফার্সি ভাষা চাপিয়ে দিতে পারেনি।
মুজতবা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের ওপর যদি উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়া হয়, তাহলে আমাদের জনগণ একদিন বিদ্রোহ করবে এবং পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তীকালে তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণীই সত্য হয়েছিল। ১৯৭১ সালে আমরা লড়াই করে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েছি, যার শিকড় নিহিত ছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্যে।
সিলেটের সেই সভার পর মুজতবা ভগ্নহৃদয়ে সেখান থেকে কলকাতা চলে যান এবং তাঁর বক্তৃতার পূর্ণ বিবরণ সাহিত্য সাময়িকী চতুরঙ্গতে ছাপেন। অবশ্য এখানেই কাহিনীর শেষ ছিল না। সিলেটে যা শুরু হয়েছিল, এক বছর পর বগুড়ায় তা শেষ হয়। ১৯৪৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মুজতবাকে বগুড়ায় এক সাহিত্য সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই সভায় তিনি দুটো পা-িত্যপূর্ণ ভাষণ দেন। স্থানীয় আজিজুল হক কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকরা তাঁর বিশাল জ্ঞান ও পা-িত্যে এতই অভিভূত হন যে, তারা তাঁকে কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
কিন্তু কলকাতার সাহিত্যের পরিম-ল ছেড়ে ছোট্ট একটা জেলা শহরে চলে আসতে মুজতবার মন একেবারেই সায় দিচ্ছিল না। তথাপি কতিপয় শিক্ষক ও ছাত্র কলকাতায় গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁকে তাদের অধ্যক্ষের পদে যোগ দিতে রাজি করান। ১৯৪৯ সালের প্রথম দিকে তিনি কলেজে যোগ দেন। সেটা ছিল এক বিস্ফোরণোন্মুখ সময়। আন্দোলন তখন দানা বাঁধছিল এবং স্থানীয় ছাত্ররা তাতে জড়িয়ে পড়ছিল। গোড়া থেকেই শহরের রক্ষণশীল মহল তাঁর নিয়োগকে সুনজরে নেয়নি। তারা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমে পড়ে।
অল্প কিছুদিন পর কলেজের বার্ষিক ম্যাগাজিন বের হয়। কয়েকজন ছাত্র ম্যাগাজিনে ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রদের ওপর পুলিশের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে নিবন্ধ লেখে। মুজতবা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার অনেক আগেই ম্যাগাজিনের সমস্ত লেখা নির্বাচিত করা হয়ে গিয়েছিল। তথাপি মুজতবাকে অভিযুক্ত করা হলো যে, তিনি ‘পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে নিবন্ধ লিখতে ছাত্রদের প্ররোচিত করেছেন।’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত অধ্যক্ষের অতি পা-িত্যপূর্ণ বাণীর মধ্যেও কর্তৃপক্ষ দোষ খুঁজে পেল। ম্যাগাজিনটি নিষিদ্ধ করা হলো এবং এর সমস্ত কপি বাজেয়াফত করা হলো।
অধ্যক্ষের বাসভবন ছিল না বলে অকৃতদার মুজতবা তাঁর বড় ভাই তখনকার বগুড়ার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত সৈয়দ মুর্তাজা আলীর সঙ্গে থাকছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু মুজতবাকে হয়রানি করেই ক্ষান্ত থাকেনি, তারা তাঁর ভাইকে জড়িত করারও চেষ্টা করেছিল। কলেজে যোগ দেয়ার সাত মাস যেতে না যেতেই মুজতবা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে কলকাতায় ফিরে যান।
ভাষা আন্দোলন জোরদার হলো। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালীর রক্ত ঝরল। তাদের সংকল্পদৃঢ় আন্দোলনের মুখে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল। তারপরই কেবল মুজতবাকে তাঁর বিখ্যাত সিলেট ভাষণ ছাপতে দেয়া হয়েছিলÑ প্রথমে আল-ইসলাম ম্যাগাজিনে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নামে একটি পুস্তিকা হিসেবে। তাঁর পা-িত্যপূর্ণ ভাষণ ২০০২ সালে পুনঃপ্রকাশিত হয়। ভাষণটি দারুণ আকর্ষণীয় ও মূল্যবান এক পাঠ্য বিষয়। দুর্ভাগ্যবশত জনগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আমাদের ভাষা আন্দোলনে মুজতবা আলীর অবদান সম্পর্কে একেবারেই অবহিত নন।
বস্তুতপক্ষে এটা আমার একক সৌভাগ্য যে, ১৯৯৯ সালের ১২ নবেম্বর ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ৩০তম অধিবেশনে আমি আমাদের অমর একুশেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উত্থাপনের ঐতিহাসিক সুযোগ লাভ করেছিলাম। আমাদের উদ্যোগ সফল হয় এবং সাধারণ সম্মেলন ১৯৯৯ সালের ১৭ নবেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। মুজতবা আলী ১৯৪৮ সালে যা বলেছিলেন, এখন তার যথার্থতা পুরোপুরি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ এই দিনটিতে নিজেদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করার অঙ্গীকার গ্রহণ করছে। এই অসাধারণ মানুষটির প্রতি এর চেয়ে উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি আর কি হতে পারে!
মুজতবা আলীকে জীবনের বেশির ভাগ সময়টা বাইরে কাটাতে হলেও তাঁর আত্মার শিকড় এই বাংলাদেশের গভীরে প্রোথিত ছিল। আমাদের স্বাধীনতার পর পরই তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং শেষ দিনগুলো তাঁর স্বজন ও পরিবারের সঙ্গে কাটান। ১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে এখানেই সমাহিত করা হয়। তাঁর রচনাবলী আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলবে এবং তাঁর অদম্য জাতীয়তাবাদী চেতনা সর্বদাই আমাদের পথের দিশা হয়ে থাকবে। এই অমর একুশেতে আমি আমার ছোট চাচা দুর্দান্ত এক দেশপ্রেমিক এবং ভাষা আন্দোলনের অগ্রণী সংগ্রামী পুরুষ সৈয়দ মুজতবা আলীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
[লেখক : ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার। ইউনেস্কোয় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সংস্থার ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পেশ করেছিলেন এবং ১৯৯৯ সালের ১৭ নবেম্বর সেটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। এখানে প্রকাশিত বক্তব্য লেখকের ব্যক্তিগত।]