
বন্যা
বানভাসি এলাকায় পুনর্বাসন প্রক্রিয়া জোরদার করা এখন জরুরী। সিলেটে বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। অধিকাংশ এলাকা এখনও পানির নিচে। বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন বন্যার্ত মানুষ। একদিকে কর্মহীন জীবন, অন্যদিকে চলছে আহারের সঙ্কট। এর মধ্যে ঘর মেরামত করা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব। ভেঙ্গে যাওয়া ঘর, ত্রিপল, ছালা, কাপড় দিয়ে ঢেকে কোনভাবে দিন যাপন চলছে।
সরকারের পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘর মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সোমবার থেকে বিতরণের কথা রয়েছে। এদিকে, অল্প হলেও বেসরকারী পর্যায়ে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
বন্যায় সিলেট বিভাগে ৯৯ হাজার ৭৮৮টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়।
সিলেট বিভাগের এক কোটি ২৫ লাখ মানুষের মধ্যে এবারের বন্যায় ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ৬ লাখ ২২ হাজার ৯৮৬ পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এদিকে, সিলেট ও সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণে সহায়তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এই টাকা থেকে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে ১০ হাজার পরিবারকে প্রদান করা হবে।
জানা গেছে, সিলেট জেলায় বন্যায় মোট ৪০ হাজার ৯১টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি। বন্যায় মোট ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা, জেলার ৫ পৌরসভা ও ১৩ উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯৪ ইউনিয়ন বন্যাকবলিত।
এদিকে, সিলেট জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র শ্রেণী-পেশায় নিয়োজিত পরিবারসমূহের গৃহ মেরামত, গৃহস্থালী উপকরণ ও শিক্ষাসামগ্রী ক্রয় এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়।