ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের মধু বিদেশেও যাচ্ছে

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ২৬ জানুয়ারি ২০২২

ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের মধু বিদেশেও যাচ্ছে

সংবাদদাতা, ঝিনাইগাতী, শেরপুর ॥ শেরপুরের সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলার গারো পাহাড় ঘেরা বন বাগানে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ শুরু হয়েছে। শিক্ষিত বেকাররা সারা বছরব্যাপী ওইসব এলাকায় মধু উৎপাদন করছে। মৌ চাষীরা বলছেন, এর মাধ্যমে যেমন কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে গেছে অন্যদিকে স্বাদে মানে অনন্য পাহাড়ি ফুলের খাঁটি মধু বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আরও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় বন বিভাগ। স্থানীয় বন বিভাগ ও মৌচাষীদের সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে নানা ধরণের ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ রোপন করা হয়। ফলে এখন সারা বছরই পাহাড়ে অনেক বৃক্ষ ছেয়ে থাকে ফুলে ফুলে। এছাড়া ভারতের সীমানা দিয়েও রয়েছে অনেক ফুল ও ফলের বাগান। শিক্ষিত বেকার যুবকরা এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাক্সে মৌচাষের মাধ্যমে মধু আহরণ শুরু করে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে নেয়। এই মধু অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এ কারণে এর চাহিদাটাও অনেক বেশী। স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রি শেষে এই মধু এখন বিদেশে রফতানি হচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতিমণ মধু ২২ হাজার থেকে ২৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, মৌমাছি সারা দিন মধু সংগ্রহ করার পর রাতে ওই মধুতে তার পাখা প্রতি সেকেন্ডে ২০০ বার করে নাড়ায়। এভাবে ১২-১৪ দিন পর মধু পারফেক্ট হয়। এরপর মধু ক্যাপ করে সংরক্ষণ করা হয়। এর সুবিধা হলো এ মধুতে সহজে ফাঙ্গাস ও দুর্গন্ধ হবেনা। তাই ক্যাপকৃত মধুর বাজারমূল্য বেশী। গারো পাহাড়ে উৎপাদিত মধুর প্রায় পুরোটাই ক্যাপকৃত আর এর গুণগত মানও অতুলনীয় বলে তিনি জানান। নালিতাবাড়ীর মধুটিলা রেঞ্জ অফিসার আব্দুল করিম বলেন, গারো পাহাড়ের বনাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকারের ফুল জন্মে আর সেখান থেকেই মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে। তাই বন মধু চাষের উপযুক্ত স্থান। এখানে কেউ মৌচাষ করে মধু উৎপাদন করতে চাইলে বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারে। এর মাধ্যমে আরও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
×