অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ পড়েছে শেয়ারবাজারে। তাদের মুনাফা তোলার চাপেই গত ছয়দিন পর দরপতন ঘটেছে। বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। মূলত ট্রেডিং শেয়ারগুলোর দর কমার কারণেই রবিবারের দরপতন ঘটেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১১৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। গত কয়েকদিনের দরবৃদ্ধির পর রবিবারের দরপতনকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মূল্যসংশোধন বলছেন। তারা বলেছেন, ব্যাংক- জীবন বীমার শেয়ারের দাম কয়েকদিন বেড়েছে। তারা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিয়েছেন। তাতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারে দাম কমেছে, কমেছে সূচকও। উত্থানের পর পতন এটাই পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়ম। এতে বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ডিএসইতে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ২৭ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৮টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এরমধ্যে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪৮টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দাম।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ৩২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগেরদিনের চেয়ে কমেছে দশমিক ৩০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। ডিএসইতে রবিবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগেরদিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: