ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিয়ে বাতিল

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

বিয়ে বাতিল

ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। এই বিধিনিষেধ মানতে গিয়ে বাধ্য হয়েই নিজের বিয়েও বাতিল করেছেন তিনি। রবিবার জেসিন্ডা এ ঘোষণা দেন। নতুন বিধিনিষেধে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ১শ’ জনকে যেকোন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার অনুমতি দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। বিধিনিষেধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে জেসিন্ডা বলেন, ‘আমার বিয়েও হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মহামারী ঠেকাতে বিধিনিষেধের কারণে এ ধরনের অভিজ্ঞতা এর আগে যাদের হয়েছে, আমিও তাদের দলে যোগ দিলাম। আমি খুবই দুঃখিত।’ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার পথে এক পরিবারের নয়জন ওমিক্রনে সংক্রমিত হন। ওই পরিবার যে উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছিল, সেখানকার একজন কর্মীও ওমিক্রনে আক্রান্ত হন। এরপর স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাত থেকে নিউজিল্যান্ডে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ডেলটার তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে গুরুতর অসুস্থতার হার কম। নিউজিল্যান্ডে ভিড় কমানো, গণপরিবহন ও দোকানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জেসিন্ডা আরডার্ন ও তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড এর আগে কখনোই বিয়ের তারিখের ঘোষণা দেননি। তবে ধারণা করা হয়েছিল আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তারা বিয়ের তারিখ ঘোষণা করবেন। নতুন বিধিনিষেধের কারণে আগামী মাসের পরে তাদের বিয়ের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। বিয়ের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় কেমন অনুভূতি হচ্ছে জানতে চাইলে জেসিন্ডা বলেন, ‘জীবন এমনই। নিউজিল্যান্ডের হাজারও নাগরিকের থেকে আমি আলাদা নই। মহামারীর কারণে অনেকের জীবনে হয়ত আরও বড় প্রভাব পড়েছে। গুরুতর অসুস্থতার সময় প্রিয়জনের পাশে থাকতে না পারা সবচেয়ে বেশি দুঃখের। এটি যেকোন দুঃখকে ছাড়িয়ে যায়।’ মহামারীর শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ১৫ হাজার ১০৪ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। -নিজজিল্যান্ড হেরাল্ড অবলম্বনে।
×