ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয় দিয়ে শুরু ফরচুন বরিশালের

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২২ জানুয়ারি ২০২২

জয় দিয়ে শুরু ফরচুন বরিশালের

মোঃ মামুন রশীদ ॥ একটি দল অভিজ্ঞতায় ভরপুর, আরেকটি তারুণ্যনির্ভর। অষ্টম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে সাকিব আল হাসানের প্রতিপক্ষ মেহেদি হাসান মিরাজের লড়াইটা বেশ জমজমাটই হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে অবশ্য জয়ের হাসিটা সাকিবের। ৪ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল, ৮ বল বাকি থাকতেই হেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চিরাচরতি ধীর উইকেট অনেকটাই ভাল ছিল উদ্বোধনী ম্যাচটিতে। কিন্তু টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৮ উইকেটে ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম। জবাবে ১৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলে কাক্সিক্ষত জয় তুলে নেয় বরিশাল। হারলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা চট্টগ্রাম অধিনায়ক মিরাজ। করোনার থাবা দলের অন্যতম উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানকে ছিটকে দিয়েছে। এছাড়া ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারও করোনা পজিটিভ। ম্যাচ শুরুর কিছু আগে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি বিষয়টি জানায় ১৫ জনের স্কোয়াডে এ দুই ক্রিকেটারের নাম না থাকার কথা। তবে অভিজ্ঞ বরিশাল দলটির একাদশ সাজাতে সমস্যা হয়নি। টস জিতেই মিরাজের নেতৃত্বে তরুণ চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠান সাকিব। ইনিংসের প্রথম বলে অফস্পিনার নাঈম হাসানকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক ব্যাটার কেনার লুইস তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন। এরপর ব্যর্থতার মিছিল। আফিফ হোসেন ধ্রুব (৬), অভিজ্ঞ সাব্বির রহমান (৮) দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। তবে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তুলে ফেলে চট্টগ্রাম। এরপর ইংলিশ ব্যাটার উইল জ্যাকসও (২০ বলে ১ ছক্কায় ১৬) এবং অধিনায়ক মিরাজ (৯) আউট হয়ে গেলে চরম বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারেননি মারকুটে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ২৩ বলে মাত্র ১৪ রান করে। ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৬৩ রান তুলে বিপর্যস্ত চট্টগ্রামকে লড়াই করার মতো সম্মানজনক পুঁজি দিয়েছেন বেনি হাওয়েল। তিনি ৮ নম্বরে নেমে ২০ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৪১ রান করেন। তার এই ঝড়ে শেষ ২ ওভারে ৩০ রান পায় চট্টগ্রাম। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান পায় তারা। সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করে সাকিব ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। নাঈম ২টি ও আলজারি জোসেফ ৩ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তকে (১) ইনিংসের নবম ওভারে হারিয়ে শুরু করে বরিশাল। মিরাজ বোল্ড করেন তাকে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সৈকত আলী ও সাকিব দারুণ খেলছিলেন। সেই জুটি ভেঙ্গে দেন মিরাজ, বোল্ড করে দেন ১৩ রান করা সাকিবকে। সৈকত-তৌহিদ হৃদয় জুটি ৩৪ ও সৈকত-ইরফান শুক্কুর জুটি ৩০ রান যোগ করে এরপর। তখন মনে হচ্ছিল সহজ একটি জয় পেতে চলেছে বরিশাল। কিন্তু ইনিংসের ১৫তম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে উল্টো পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে তারা। হৃদয় আগেই ১৬ রানে ফিরে গিয়েছিলেন। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সৈকত ৩৫ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে মিরাজের তৃতীয় শিকার হন। পরের বলেই শুক্কুরকে (১৩ বলে ১৬) সাজঘরে পাঠান। আর ওই ওভারের শেষ বলে রানআউট হয়ে যান সালমান হোসেন (০)। সেখানে থেকে বরিশালকে জয় পাইয়ে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান ১২ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ১৯ ও ডোয়াইন ব্রাভো ১০ বলে ১ চারে ১২ রানে অপরাজিত থেকে। ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ১২৬ রান তুলে জয় পায় বরিশাল। টি২০-তে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে মিরাজ নেন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট। স্কোর ॥ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস- ১২৫/৮; ২০ ওভার (হাওয়েল ৪১, জ্যাকস ১৬, নাঈম ১৫; জোসেফ ৩/৩২, নাঈম ২/২৫)। ফরচুন বরিশাল ইনিংস- ১২৬/৬; ১৮.৪ ওভার (সৈকত ৩৯, জিয়া ১৯*, হৃদয় ১৬, শুক্কুর ১৬; মিরাজ ৪/১৬)। ফল ॥ ফরচুন বরিশাল ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মেহেদি হাসান মিরাজ (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)।
×