ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা চালাচ্ছেন

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা চালাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন-পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের বিষয়টি বেশ জটিল। তবে এতটুকু বলতে পারি- এ অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত। শান্তিচুক্তি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তাতে তার অবস্থান পরিষ্কার। তিনি আমাদেরও নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে বেশি বেশি প্রকল্প নিতে। আমরাও বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি, যখনই যে প্রকল্প আমাদের কাছে আসছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাস করিয়ে দিচ্ছি। রবিবার রাজধানীর হোটেল আমারিতে ভোরের কাগজ ও আইসিএলডিএস যৌথ উদ্যোগে ‘সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন: একুশ শতকে পার্বত্য চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে ব্যয় হয়, মাথাপিছু হিসাবে দেশের অন্য জায়গা থেকে অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বোঝা নয় সম্পদ ও শান্তির সমৃদ্ধি হবে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধি পেতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সফরে গিয়েছিলেন এবং পিছিয়ে পড়া জনগণকে মূল ¯্রােতের সঙ্গে এগিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ পথ পেরিয়ে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাতে শান্তির দুয়ার উন্মোচন করা হয়। বঙ্গবন্ধুই প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন। আর শেখ হাসিনার সরকার এ অঞ্চলকে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় যার অন্যতম মাইলফলক হিসেবে স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য শান্তি চুক্তির। পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে-পরের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বীর বাহাদুর বলেন, চুক্তির আগে এ তিন জেলার উন্নয়ন বাজেট ছিল ৫৪ কোটি টাকা। এখন সেটা হাজার কোটি। আগে সরকারী চাকরিজীবীদের শাস্তির হুমকি হিসেবে ভয় দেখানো হতো পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেব। এখন সেই যুগ নেই্। থানচি,সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য দেখার জন্য এখন সবাই ছুটছে। মানুষ এখন সেখানে যাবার আগে কাঁদে,না জানি কি হয়। কিন্তু যাবার পর যখন ভাল লাগে তখন তাকে ফিরিয়ে আনার সময়ও তিনি কাঁদেন আরও কিছুদিন থাকার জন্য। তিনি বলেন, সবাই শান্তি চায়। যারা শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে তারাই আজ সেটা বাস্তবায়নের দাবিতে খুনোখুনি করছে, অস্ত্র হাতে নিচ্ছে, সহিংসতা করছে। তাদের হাতেই আজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুন হচ্ছে। একটাই কারণ- শত কোটি টাকার চাঁদাবাজি। এগুলো ব্ন্ধ করতে না পারলে সামনে গোটা দেশের শান্তি আসবে না। অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশিষ্ট কূটনীতিক ও এম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জমির বলেন, এক জীবনে ৩৪ বার পার্বত্য চট্রগ্রাম গিয়েছি। দেখেছি, উপলব্দি করেছি,সেখানে কি ছিল, এখন কি আছে। আসলে সম্প্রতি চাইলে, “স” এর ব্যবহার করতে হবে। সমৃদ্বির জন্য সহিংসতা এড়াতে সার্বক্ষণিক সার্বিকভাবে সবাইকে কাজে লাগিয়ে সর্বাত্মক সংগ্রাম করতে হবে যাতে সফলতার স্বাদ নেয়া যায়। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.মাহফুজ পারভেজ বলেন-চব্বিশ বছর আগে শান্তি চুক্তি হয়েছিল। সে সময় আমি তার ওপর একটি বইও লিখেছিলাম। শান্তি চুক্তির অন্যতম স্বার্থকতা এটি এখনো বহাল আছে। বাতিল কিংবা ভেঙ্গে যায়নি। যা বিশ্বের অনেক চুক্তির বেলায় ঘটে থাকে। তিনি পাহাড়ে বর্তমানে চাদাবাজির জন্য ৫টি গ্রুপকে দায়ি করে বলেন- এখানে মূল সমস্যা এখন জাতিগত নয়, স্বার্থকেন্দ্রিক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, আইসিএলডিএস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির, আইসিএলডিএস নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল অব. মোঃ আবদুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এম আসহাব উদদীন এনডিসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ ও এ্যাডভোকেট ইকবাল করিম। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বোঝা নয়, সম্পদ ও শান্তির সমৃদ্ধি হবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি বলেন, আর শান্তি ও সমৃদ্ধি পেতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেলে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন: একুশ শতকে পার্বত্য চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সফরে গিয়েছিলেন এবং পিছিয়ে পড়া জনগণকে এগিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন। সরকার এ অঞ্চলকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কাজ করছেন তারই অংশ হিসেবে শান্তি চুক্তি করা হয়েছিল। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের বিষয়টি বেশ জটিল। তবে, এতটুকু বলতে পারি, এ অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শান্তিচুক্তি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তাতে তার অবস্থান পরিষ্কার। আমাদেরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে বেশি বেশি প্রকল্প নিতে। আমরাও বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি, যখনই যে প্রকল্প আমাদের কাছে আসছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাস করিয়ে দিচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় হয়, মাথাপিছু হিসাবে দেশের অন্য জায়গা থেকে অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, আইসিএলডিএস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির, আইসিএলডিএস নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এম আসহাব উদদীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ ও এ্যাডভোকেট ইকবাল করিম।
×