ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের স্বার্থে যেখানে প্রয়োজন সেখানে তদ্বির ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:২২, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

দেশের স্বার্থে যেখানে প্রয়োজন সেখানে তদ্বির ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের স্বার্থে যেখানে তদ্বিরের প্রয়োজন হবে, সেখানেই সরকার তদ্বির চালাবে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাংলাদেশ তাদের ব্যবহার করবে। শুক্রবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, বিলিয়ার চেয়ারম্যান ও সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, বিলিয়ার আজীবন সদস্য মুহাম্মদ জামিরসহ অনেকে। এ সময় দেশের বাইরে থেকেও বিভিন্ন অতিথি অনলাইনে যুক্ত হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাংলাদেশ তাদের ব্যবহার করবে। আমাদের দেশে এটিকে আমরা তদ্বির বলি। যেখানে দরকার হবে সেখানে আমরা তদ্বির চালাব। দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদ্বির লাগে।’ র্যা বের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে লবিস্ট নিয়োগ করবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এসব বলতে পারব না। লবিস্ট নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাধারণ প্র্যাকটিস। বাংলাদেশ ২০১৩-১৪ সালে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল। ওরা কাজ করছে।’ ২০১৮ সালে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘আমি এগুলো জানি না। তবে তাদের অধিকার আছে আইনী কাঠামোর অধীনে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার। বিএনপি বা অন্য যে কেউ এটি করুক এটা তাদের মাথাব্যথা। আমার না।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন ,‘সময়-সময় আমাদের অনেক ধরনের দুর্যোগ আসে। আমরা সেগুলো সমাধান করি। এখনও হয়ত একটা অসুবিধা আসছে। কিন্তু আমরা এটা সমাধান করতে পারব। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক ধাক্কা আসে এবং সব গণতন্ত্রে অপূর্ণতা আছে। আমাদের কোথাও যদি কোন ঘাটতি থাকে, দুর্বলতা থাকে, তবে অবশ্যই আমরা সেটা ঠিক করার চেষ্টা করব।’ মোমেন বলেন, ‘আমেরিকানরা পরিপক্ব জাতি। তারা দেখবে। যদিও র্যা বের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে। পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাস দূর করা ও সন্ত্রাসীদের ধরা তাদের লক্ষ্য। মাদক ও মানব পাচার কমানো তাদের লক্ষ্য। র্যা ব এগুলো সফলভাবেই করছে। এ কারণেই র্যা ব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয় সবাই এটা বুঝবে। তখন হয়ত অবস্থার পরিবর্তন হবে।’ আমরা আইনের দেশ। এ দেশের সৃষ্টিই হয়েছিল গণতান্ত্রিকভাবে। আমেরিকাও গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রতেই অপূর্ণতা আছে। আমরা দিনে দিনে পরিপক্বতা অর্জন করেছি। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক নিয়মে চলছি। এরমধ্যে যদি কোন ধাক্কা আসে, আমরা সেটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।
×