ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে প্রতি দুদিনে ১টি অগ্নি দুর্ঘটনা : সিপিডি

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২২

শিল্পকারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে প্রতি দুদিনে ১টি অগ্নি দুর্ঘটনা : সিপিডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শিল্প কারখানা,আবাসন ও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতি দুই দিনে একটি করে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটছে বলে সিপিডির এক গবেষণায় উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। ‘কর্মক্ষেত্রে অগ্নিদুর্ঘটনা ও শ্রমিক নিরাপত্তা: নিরসনের উদ্যোগ কোথায়?’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংস্থার গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গবেষণার ফলাফল এবং বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৮ জুলাই নারায়নগঞ্জে সজিব গ্রুপের হাশেম ফুড কারখানায় অগ্নিকান্ডের পর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৮২টি অগ্নিদর্ঘটনা ঘটেছে। পোশাক বর্হিভূত শিল্প কারখানা, বাসাবাড়ি, হাসপাতাল- এসব স্থাপনায় অগ্নি দুর্ঘটনা হিসাব করা হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২৮ জন। আহত হয়েছেন ২১৩ জন। ঢাকা অঞ্চলে সর্বাধিক ২৯টি অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষণার পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে কর্মক্ষেত্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বাড়ছে। এতে শ্রমিক আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। হাশেম ফুডের কারখানায় দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে নতুন করে কারখানার কর্মপরিবেশ এবং নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। এ দুর্ঘটনার পরে সরকার কারখানার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং তা নিরসনের একটি ব্যাপকভিত্তিক উদ্যোগের ঘোষণা দেয়। এই উদ্যোগ কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতেই এই গবেষণাটি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ নানা মহল থেকেই বারবার দেয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে তদারকির দায়দায়িত্ব যাদের রয়েছে, তাদের উদাসীনতা কিংবা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগও কম নয়। অর্থনৈতিক অগ্রগতি কিংবা উন্নয়ন গতি যতই বাড়ছে, এর সঙ্গে কর্মপরিবেশের উন্নয়ন ও কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। টেকসই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে, কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শ্রম আইন ২০০৬ ও ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এ নিরাপদ কর্মপরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে মোট ৪১টি ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এ আইনগুলোতে দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিপূরণের বিধান রাখা হয়েছে। অনানুষ্ঠানিক খাতের অসংগঠিত শ্রমিকদের কল্যাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ২০১৫ সালে অসংগঠিত শ্রমিক কল্যাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা (অনানুষ্ঠানিক খাত) আইন প্রণীত হয়।
×