ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে সেই নারীর পেট থেকে বের করা হলো কাঁচি

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ১১ জানুয়ারি ২০২২

অবশেষে সেই নারীর পেট থেকে বের করা হলো কাঁচি

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা ॥ অস্ত্রোপচারের পর পেটে সার্জিক্যাল আটারি (কাঁচি) রেখে দেন চিকিৎসক। এভাবে চলে দীর্ঘ ২০ বছর। অবশেষে সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই সার্জিক্যাল আটারি অপসারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ ওয়ালিউর রহমান নয়ন। তার তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাচেনা খাতুন। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট (সিনিয়র) ডাঃ ওয়ালিউর রহমান বলেন, গত ৪ জানুয়ারি থেকে বাচেনা খাতুনকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জন্য অস্ত্রোপচার পিছিয়ে যাচ্ছিল। ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকায় সোমবার তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার পেট থেকে সার্জিক্যাল আটারি অপসারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সহায়-সম্বল বিক্রি করে ২০০২ সালের ২৫ মার্চ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকে পিত্তথলির পাথর অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন বাচেনা খাতুন। অস্ত্রোপচার করেছিলেন সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিজানুর রহমান। তার সঙ্গে সহকারী হিসেবে ছিলেন রাজা ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ পারভিয়াস হোসেন রাজা ও এ্যানেস্থেসিয়া করেন ডাঃ তাপস কুমার। অস্ত্রোপচারের এক সপ্তাহ পর বাচেনা খাতুনকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু সুস্থ হতে পারেননি। পেটের ব্যথা নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় বছরের পর বছর ডাক্তারের কাছে ছুটেছেন তিনি। খুইয়েছেন অর্থ-সম্পদ। অবশেষে ২০-২৫ দিন আগে রাজশাহীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করালে পেটে সার্জিক্যাল আটারির সন্ধান পাওয়া যায়। এটি নিয়ে এলাকায় হৈচৈ পড়ে।
×