ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক ॥ কলাপাড়ায় কৃষকের ধান কাটার হিড়িক

প্রকাশিত: ২১:০২, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক ॥ কলাপাড়ায় কৃষকের ধান কাটার হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ ঘুর্নিঝড় জাওয়াদ আতঙ্কে কলাপাড়র উপকূলজুড়ে কৃষকের ধান কাটার হিড়িক লেগেছে। কৃষকরা পাকা ধান তো দুরের কথা, কাঁচাপাকা ধানও কেটে বাড়িতে তুলছেন। বছরের একটি মাত্র আমন ফসল ঘরে তোলার শঙ্কা নিয়েই কৃষকরা যে যেভাবে পারছেন ধান কেটে ঘরে তুলছেন। হাইলা-কামলা, কৃষাণদের অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে কৃষকরা এখন মাঠে ধান কাটার কাজে নেমেছেন কোমর বেধে। আবার বহু কৃষক কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনেও ধান কাটছেন। সারা বছরের খোরাকি চাল সংরক্ষণের অবলম্বন আমন ধান। তাও যদি সম্ভাব্য ঘুর্ণিঝড় আতঙ্কে নষ্ট হয়ে যায়, এমন শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। শুক্রবার রাত থেকে কলাপাড়ার পায়রা বন্দরসহ গোটা উপকূলজুড়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে। ফলে কৃষকরা চরম শঙ্কায় পড়েছেন। টিয়াখালী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ রিয়াজ জানান, দেড় কানি (১২ বিঘা) জমির ধান মেশিনে কেটেছেন। আরও বাকি ১৫ কানি। কিছু ধান কাঁচা থাকলেও বৃষ্টিসহ ঝড়োহাওয়ায় কেটে ফেলেছেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তোলার মহাব্যস্ততার দৃশ্য। কুমিরমারা গ্রামের ধান ও সবজি চাষী সুলতান গাজী জানালেন, কৃষকরা যে যেভাবে পারছেন ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এই মুহুর্তে বৃষ্টি হলে পাকা ধান ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ জানান, ৮০ ভাগ ধান পাকলেই ধান কাটতে হয়। তিনি জানালেন ইতোমধ্যে ৪০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ করেছেন কৃষকরা। এখনও মাঠে অন্তত ৩০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন ধান কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া শ্রমিক তো আছেই। কারণ এই মুহুর্তে বেশি বৃষ্টি হলে আমন ধাণের বেশি ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে হারভেস্টর দিয়ে ঘন্টায় এক একরের বেশি জমির ধান কাটা সম্ভব। কৃষকরা চরম উৎকন্ঠা নিয়ে আমন ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
×