ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০১:০৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২১

জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা পর্বে বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ঢাবির সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু অংশগ্রহণ করেন। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ সদ্ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, অনেক রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বর্তমান প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের যোগ্য উত্তরাধিকারী হতে হবে। মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের কাজ করতে হবে। মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদাকে বিশ^ দরবারে তুলে ধরতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। নতুন প্রজন্মকে তাঁর আদর্শ ধারণ করতে হবে। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছাত্র জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। নাট্য চর্চাও এখান থেকে শুরু করেছিলাম। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে ঢাবির শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে টিএসসিতে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল এবং টেলিভিশিন, ফিল্ম এ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তোলা ১০০টি ছবি নিয়ে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
×