ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গীতে বস্তি আগুনে পুড়ে ছাই ॥ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের খাদ্য সহায়তা

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ২৭ নভেম্বর ২০২১

টঙ্গীতে বস্তি আগুনে পুড়ে ছাই ॥ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের খাদ্য সহায়তা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ শনিবার ভোররাতে টঙ্গী বাজার ব্রীজ সংলগ্ন মাজার বস্তিতে এক ভয়বহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১ হাজার বস্তিঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ারসার্ভিসের ৯ টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিলেও ততক্ষণে আগুনে সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। টঙ্গী ফায়র সার্ভিসের মুখপত্র রায়হান জনকণ্ঠকে জানান, ভোর ৪ টার দিকে বস্তুটিতে আগুন লাগে। দু'ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। টঙ্গী, উত্তরা ও কুর্মিটোলা থেকে আসা ফায়ারসার্ভিসের ৯ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বিপুল। দুপুরের দিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শন আসেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নয়া ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, প্যানেল মেয়র আবদুল আলীম মোল্লা, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খাঁন, কাউন্সিলর গিয়াসউদ্দিন সরকার, আবুল হোসেন, আবুবকর সিদ্দিক, আবদুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ওসমান আলী ও দুলু খান প্রমূখ। ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর ৭ দিনের রান্না করা খাবরের ব্যবস্হা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া বস্তিবাসীদের খাদ্য, বস্তু ও বাসস্হানের ব্যবস্হা করার ঘোষণাও দেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন। কি ভাবে আগুন লেগেছে তা কেউ বলতে পারছে না। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়ে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হাসান বলেন, বস্তির ঘরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগালাগি থাকায় আগুন দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বস্তির ভেতরে ঢোকার মতো রাস্তা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো বস্তির ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বস্তিবাসীরা জনকণ্ঠকে জানান, খুব ভোরে হঠাৎ বস্তিতে আগুন জ্বলে ওঠে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আমরা ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করি। জীবনে এতো বড় আগুনের ঘটনা আর দেখিনি। আগুনে অন্তত ১ হাজার বস্তিঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বস্তিতে লাগা আগুন ৪/৫ কিলোমিটার দূর থেকে দেখে মানুষজন আতকে উঠে। যুগ যুগ ধরে বসবাস করা টঙ্গী বাজার মাজার বস্তির বস্তিবাসী হারিয়েছে এখন পাগলের মতো হয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। আগুনে সব কিছু হারিয়ে এখন সরকারী বেসরকারী পূনর্বাসনের সহায়তার অপেক্ষায় আছেন বস্তিবাসিরা।
×