অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধগতি আবার ভাবিয়ে তুলেছে দেশটির কর্মকর্তাদের।অবশ্য মাঝে দেশটিতে কমে এসেছিলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু।
এনটিভি আজ শনিবার জানিয়েছে, আগের দিন সারা ভারতে ১৬ হাজার ৩২৬ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েছে। একদিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গেও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার যেখানে ৮৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তা শুক্রবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪৬।
রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্গাপূজার উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের অসচেতনতায় বাড়ছে সংক্রমণ। এক কর্মকর্তা আনন্দবাজারকে বলেন, “প্রশাসন, চিকিৎসক সকলে প্রস্তুত আছি। কিন্তু প্রশ্ন হল, মানুষ কী করে স্মৃতি ভুলে যাচ্ছেন? নিজের পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি আমাদের কথাও তো ভাবা উচিৎ। নিজেদের ভালো কি তারা বোঝেন না?”
মহামারীর এক বছর পেরিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ভারত। গত এপ্রিলে রোগীর পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাওয়া বড় চাপে ফেলেছিল দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগকে। ডেল্টা সংক্রমণে ভারতের সেই বিপর্যস্ত অবস্থার বিরূপ প্রভাব পড়েছিল বিশ্বের ভাইরাসবিরোধী লড়াইয়ের উপরও। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদনকারী দেশ ভারত তখন টিকা রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, ফলে অনেক দেশের টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বছরের মাঝামাঝির পর ভারতে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও টিকা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা এখনও ওঠেনি।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত ২৮ দিনে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৩ জন কোভিড রোগী ধরা পড়েছে। আর মারা গেছে ৬ হাজার ৬৭৪ জন। গত ২৮ দিনে শনাক্ত রোগীর হিসাবে ভারতের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ লাখ ২৫ হাজার জন। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য (১০ লাখ ৮০ হাজার), তুরস্ক (৮ লাখ ১২ হাজার)ও রাশিয়া (৭ লাখ ৫৬ হাজার)।
গত ২৮ দিনে বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৭ জন। এই সংখ্যা শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তানের চেয়েও কম। ভারতে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩ কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ২৩৬ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার জন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: