ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফেসবুকের গোপন কালো তালিকায় বাংলাদেশি ৬ জঙ্গি সংগঠন

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ১৩ অক্টোবর ২০২১

ফেসবুকের গোপন কালো তালিকায় বাংলাদেশি ৬ জঙ্গি সংগঠন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চার হাজারের বেশি সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠন এবং ব্যক্তিকে গোপন কালো তালিকাভুক্ত করেছে ফেসবুক। এর মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত ছয়টি জঙ্গি সংগঠন ও এক ব্যক্তির নাম রয়েছে। ফেসবুক এসব জঙ্গি সংগঠনকে হিংসা-বিদ্বেষ সহিংসতার প্রচারকারী গোষ্ঠী বলে অভিহিত করেছে। আর পরিচালনাকারীকে বিপদজ্জনক ব্যক্তি বলেছেন। তাদেরকে নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা করা হলে চরম শাস্তি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অপপ্রচার চালাতে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে। এর থেকে রেহাই পেতে ফেসবুক ডেঞ্জারাস ইন্ডিভিজুয়ালস এ্যান্ড অর্গানাইজেশন্স (ডিআইও) নীতির আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনক ব্যক্তি ও জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় তৈরী করে। তাদের গোপন এই কলো তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চার হাজারের বেশি সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠন এবং ব্যক্তির গোপন নাম রয়েছে। যারা অনলাইন-অফলাইনে সহিংসতার বিস্তার করেন। এই তালিকায় বাংলাদেশের অন্তত ছয়টি জঙ্গি সংগঠন এবং একজন ব্যক্তির নাম দেখা গেছে। ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ এই গোপন কালো তালিকার নথিপত্র হাতে পেয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট। এই তালিকায় বাংলাদেশের যে ছয় জঙ্গি সংগঠনগুলো হচ্ছে, আল মুরসালাত মিডিয়া, ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ, হরকাত উল-জিহাদ-ই-ইসলামী বাংলাদেশ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জামায়াত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও সাহাম আল-হিন্দ মিডিয়া। ফেসবুক বলছে, সাহাম আল-হিন্দ মিডিয়ার সঙ্গে জামায়াত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের এবং আল মুরসালাত মিডিয়ার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সম্পর্ক রয়েছে। ফেসবুকের বিপজ্জনক ব্যক্তির তালিকায় এক বাংলাদেশির নামও রয়েছে। তরিকুল ইসলাম নামে ওই বাংলাদেশির সঙ্গে জামায়াত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সম্পর্ক আছে ফেসবুক জানিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য জানানো হয়নি। দ্য ইন্টারসেপ্ট ফেসবুকের গোপন কালো তালিকাভুক্ত সব সংগঠন এবং ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় কালো তালিকাভুক্তে ঠাঁই পাওয়া সব সংগঠন এবং ব্যক্তি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ। যেসব ব্যবহারকারী ফেসবুকে এসব গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের ফেসবুকের ডিআইও নীতিমালা অনুযায়ী তিন-স্তরের শাস্তির আওতায় আনে। ফেসবুক বলেছে, সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলোর মতো যারা অফলাইনে মারাত্মক ক্ষতিকর কাজ করতে পারেন, ফেসবুক তাদেরকে কালো তালিকার প্রথম স্তরে রাখে। এছাড়া সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মতো যেসব সহিংস বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে ফেসবুক তাদেরকে দ্বিতীয় স্তর রেখেছে। তৃতীয় স্তরে এমন ব্যক্তি ও সংগঠনকে রাখা হয়, যারা ফেসবুকের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং বিপজ্জনক সংগঠনের নীতিমালা লঙ্ঘন করে। তবে তারা অগত্যা সহিংসতায় জড়িত হয়নি বা সহিংসতায় সমর্থন দেয়নি। বাংলাদেশের যেসব সংগঠন এবং ব্যক্তির নাম ফেসবুকের গোপন কালো তালিকায় রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা করা হলে চরম শাস্তি হতে পারে।
×