ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চন্দ্রিমা উদ্যানে কারো কবর থাকবে না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

চন্দ্রিমা উদ্যানে কারো কবর থাকবে না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ থাকুক আর না থাকুক কারো কবর চন্দ্রিমা উদ্যানে থাকতে পারে না। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) কাউন্সিল ভবনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘ঢাকা শহরে জলবদ্ধতা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি তারা পার্লামেন্টের চত্বরে শুয়ে থাকবেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর যদি আমাদের দেশের সংসদ ভবনের মতো গৌরবোজ্জ্বল জায়গাতে থাকে, তাহলে আমাদের জাতির প্রতি যে অঙ্গীকার সেটা কি রক্ষা করলাম? তিনি আরো বলেন, শুধু অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাটই গড়ে তোলা হয়নি। লুই আই কানের নকশা অনুযায়ী সেখানে কোনো কবর থাকার কথা নয়। জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনি—এই কথা প্রমাণ করার জন্য এখন তথ্য-প্রমাণের অভাব নেই। ডেপুটি আর্মি স্টাফ হিসেবে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপতিকে নিরাপত্তা এবং রক্ষা করা জিয়াউর রহমানের দায়িত্ব ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের কাছে ব্রিগেডিয়ার আমিনুল ইসলাম গেলে তিনি তাকে বলেন, ‘হোয়াই ইউ আর ওরিড, ভাইস প্রেসিডেন্ট তো রয়েছে, রাজনীতির বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই’। জাতির পিতাকে হত্যা করা কি পলিটিক্স ছিল? বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়ন হওয়ার কারণে আমরা এখন আর পৃথিবীর কাছে ভিক্ষুকের জাতি নই। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির ঐক্য এবং লক্ষ্য থেকে আমাদের বিচ্যুত করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও তার দল আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করেছে। ঘোষণা দিলেই কেউ ঘোষক হয়ে যায় না। একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই দেশের জনগণ স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য মনোনীত করেছিল। আপনি আগে পরে বা যখনই ঘোষণা দেন না কেন আপনি স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারেন না। জাতির পিতাকে হারানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা বিপথগামী হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর ২১ বছরে ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই হয়নি। অব্যবস্থাপনা, ধ্বংস আর চমক সৃষ্টি করে এখন চন্দ্রিমা উদ্যানের শুয়ে থাকবেন, এমন তো হতে পারে না। লাশ থাকুক আর না থাকুক কারো কবর এখানে থাকতে পারে না। একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, আমাদের ৩০ লাখ লোককে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সভ্রমহানি করেছে—আমরা তখনই আমাদের সম্মান পুনঃস্থাপন করতে পারব, যখন আমরা এই সমস্ত কুলাঙ্গারদের দেশের জাতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থান থেকে অপসারণ করতে পারবো। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।
×