ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সাবমেরিন বিতর্ক ॥ ফ্রান্সের পাশে দাঁড়াল ইইউ

প্রকাশিত: ১৩:১০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

সাবমেরিন বিতর্ক ॥ ফ্রান্সের পাশে দাঁড়াল ইইউ

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের নতুন অকাস জোট গঠনের পর সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে বিতর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে(ইইউ) পাশে পেয়েছে ফ্রান্স। ইইউ নেতারা ফ্রান্সের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইইউ-র অন্যতম প্রধান কূটনীতিক জোসেপ বরেল বলেছেন, ''ইইউ ফ্রান্সের পাশে আছে।'' ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিন সিএনএন-কে বলেছেন, আমাদের এক সদস্য দেশের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়েছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা জানতে চাই কী হয়েছিল, কেন এটা হল? “আমাদেরও (ইইউ) কিছু জানার বিষয় আছে, কিছু প্রশ্ন আছে, যার উত্তর পাওয়া দরকার” বলেন তিনি। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন অকাস ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা জোটের ঘোষণা দেন। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে নতুন জোটের কথা জানানো হয়। মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলা করা এ জোটের লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানান, তারা নতুন নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় জোটের অংশীদার অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন বানানোর প্রযুক্তি সরবরাহ করবেন। এ কারণে ১২টি সাবমেরিন বানাতে ফ্রান্সের সঙ্গে ২০১৬ সালে হওয়া প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারের একটি চুক্তি বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-যুব লে দ্রিয়ান। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের ‘পিঠে ছুরি মেরেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স ক্যানবেরা ও ওয়াশিংটন থেকে তাদের দুই রাষ্ট্রদূতকে ডেকেও পাঠায়। মিত্র দেশগুলো থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠানোর ঘটনা বেশ বিরল। ত্রিপক্ষীয় জোটের দুই সদস্য দেশ থেকে দূত ডেকে পাঠানোর পর অপর সদস্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শীর্ষ বৈঠকও বাতিল করেছে প্যারিস। এ পরিস্থিতিতে ইইউ কে নিজেদের পাশে পেল ফ্রান্স। মঙ্গলবার থেকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের বৈঠক শুরু হয়েছে। ইইউ দেশগুলো জাতিসংঘ বৈঠকের ফাঁকে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে। সে বৈঠকে সাবমেরিন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
×