ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডাঃ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)

কোভিড-১৯-এ আইভারমেকটিন ব্যবহার কতটা নিরাপদ

প্রকাশিত: ০০:১৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

কোভিড-১৯-এ আইভারমেকটিন ব্যবহার কতটা নিরাপদ

কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই সারা পৃথিবীতে গবেষকরা যেমন একদিকে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে মনোযোগী হয়েছেন, তেমনি পৃথিবীর দেশে দেশে কোভিড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বড় একটি অংশজুড়ে ছিল চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ খুঁজে বের করা। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, আইভারমেকটিন, ফেভিপিরাভির, রেমডেসিভির, নিটাজক্সানাইড, আইওপিনাভির, রিটোনাভিরসহ অনেক ওষুধকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য জরুরী অনুমোদন বা ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন দেয়া হয়েছে। আজ যখন প্যান্ডেমিকটির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি হতে যাচ্ছে, কোভিডের চিকিৎসায় এসব ওষুধের সাফল্য-ব্যর্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনার দাবি রাখে। এসবের মধ্যে কোন কোন ওষুধ অবশ্য তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা দুর্বল কার্যকারিতা বিবেচনায় এরই মধ্যে বাতিলের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী কোভিড চিকিৎসায় যে ওষুধটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-পর্যালোচনাা চলছে তার নাম আইভারমেকটিন। এটি একটি কৃমিনাশক ওষুধ যা পরবর্তীতে কোভিডের চিকিৎসায় রিপারপাজড করা হয়েছিল। ক্যালি এবং তার সহ-গবেষকরা গত বছর প্রথম ল্যাবরেটরিতে আফ্রিকান গ্রীন মাংকি কিডনি সেল লাইনে গবেষণা করে কোভিডের চিকিৎসায় আইভারমেকটিনের সম্ভাবনার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছিলেন। ল্যাবরেটরিতে বানরের কোষে পরিচালিত এই গবেষণাটির সূত্র ধরেই এরপর থেকে কোটি কোটি মানুষ পৃথিবীজুড়ে কোভিড প্রতিরোধ আর চিকিৎসায় আইভারমেকটিন গ্রহণ করে এসেছে। গত বছরে যখন কোভিডের চিকিৎসায় চারদিকে একটা দিশেহারা অবস্থা বিরাজ করছিল তখন আমরাও বাংলাদেশে কোভিডের চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ব্যবহারের ওপর একটি গবেষণা প্রবন্ধ একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করেছিলাম। যে কোন ওষুধকে আমরা তিনটি মাপকাঠিতে মেপে থাকি। প্রথমত, এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন এবং এটি নিরাপদ কি না, দ্বিতীয়ত, এটির রোগ প্রতিরোধে কোন ভূমিকা আছে কিনা এবং সবশেষ, রোগের চিকিৎসায় এটির কার্যকারিতা কেমন। আইভারমেকটিন সম্ভবত কোভিড ম্যানেজমেন্টের জন্য এখন পর্যন্ত একমাত্র রিপারপাজড ওষুধ যা রোগটির প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা এই দুই কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে আজ পর্যন্ত কোন যথাযথ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে কোভিড প্রতিরোধ বা চিকিৎসায় আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা যাচাই করে দেখা হয়নি। কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার আগ থেকেই ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে ফাইলারিয়াসিসের চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ব্যবহার করা হতো। কোভিড শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের জন হপকিংস বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করে আসছে। এসব তথ্যসূত্র যাচাই করে দেখা যায় লাতিন আমেরিকায় পৃথিবীর ৫.৫% মানুষের বসবাস, অথচ এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে ৩৭ মিলিয়ন মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন যা পৃথিবীতে কোভিডে আক্রান্ত মোট জনসংখ্যার ১৬.৮%। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে লাতিন আমেরিকায় কোভিডের কারণে মৃত্যুর সংখ্যাটি। এ পর্যন্ত এ অঞ্চলে ১.১ মিলিয়ন মানুষের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে যা পৃথিবীতে কোভিডে মোট মৃত্যুর ২৪%। এসব ডাটা থেকে এটি স্পষ্ট যে আইভারমেকটিন কোভিড প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা কোথাও কোন কাজে আসে না। এবার একটু বাংলাদেশের দিকে নজর দেয়া যাক। মার্চ ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বমোট ৬১১,২৯৬ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হন। অথচ মে ২০২১ থেকে আগস্ট ২০২১-এর মধ্যে এদেশে কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮৯,৩২৩ জন। মার্চ ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোভিডে মৃত্যু হয় ৯,০৪৮ মানুষের। মে ২০২১ থেকে আগস্ট ২০২১ এই পাঁচ মাসেই এদেশে কোভিডে মারা গেছেন ১৭,১৪৭ জন। এটি এখন সর্বজনবিদিত যে ২০২০ থেকে ২০২১-এর মধ্যে অসংখ্য বাংলাদেশী নাগরিক কোভিড প্রতিরোধ বা চিকিৎসায় আইভারমেকটিন গ্রহণ করেছেন। কাজেই উপরের সংখ্যাগুলোই স্পষ্ট করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, যে বাংলাদেশেও কোভিডের প্রতিরোধ অথবা চিকিৎসায় আইভারমেকটিরন কোন কাজেই আসেনি। পাশাপাশি অন্য যে বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য যে, শুরু থেকেই এদেশে আইভারমেকটিনকে একটি অত্যন্ত কার্যকর ওষুধ হিসেবে প্রমোট করা হয়েছে। আমাদের সবার ধারণাটা মোটামুটি এ রকম যে আইভারমেকটিন কোভিডে কাজ করুক বা না-ই করুক, এটি অন্তত আমাদের কোন ক্ষতি করবে না। ফলে এশিয়া এবং আফ্রিকার আরও অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও চিকিৎসকসহ অনেকেই আইভারমেকটিন ব্যবহারের পক্ষে উৎসাহ যুগিয়ে আসছেন। এই প্রেক্ষাপটে আমরা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে আইভারমেকটিন ঠিক কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেই। বাস্তবতা হচ্ছে আইভারমেকটিন যেমনটি প্রচার করা হয়েছে, আসলে সে ধরনের কোন নিরাপদ ওষুধই এটি নয়। এর অনেক সাইড এফেক্ট আছে। এটি ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, চোখে ব্যথা, চোখ থেকে রক্তক্ষরণ এমনকি দৃষ্টিশক্তিও হারানোরও কারণ হতে পারে। আর তালিকাটির এখানেই শেষ নয়। আইভারমেকটিন শ্বাসকষ্ট, প্রস্রাব ও পায়খানার বেগ সংবরণ না করতে পারা, দাঁড়ানো বা হাঁটায় অসুবিধা, প্রচণ্ড ক্লান্তি, অবসাদগ্রস্ততা, খিঁচুনি আর কনফিউশনও সৃষ্টি করতে পারে। মারাত্মক বিষয় হলো আইভারমেকটিন অন্যান্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্ত তরল করার ওষুধ ওয়ারফেরিনের সঙ্গে আইভারমেকটিন ব্যবহার করা হলে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে পারে। এমনকি এই সময়ে চলমান ডেঙ্গু প্যান্ডেমিকে যারা আইভারমেকটিন খাচ্ছেন তাদের রক্তপাতের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। আইভারমেকটিন প্রচণ্ড এ্যালার্জিক রিয়েকশন করতে পারে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট, চামড়ায় র‌্যাশ, জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়। আইভারমেকটিন একটি প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি সি ড্রাগ, অর্থাৎ এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য একেবারেই অনিরাপদ। এ পর্যন্ত যা বলা হলো তার সবই আইভারমেকটিনের স¦ীকৃত সাইড এফেক্ট। এর বাইরেও কোভিডের মতো একটি রোগ যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেমে ব্যত্যয় ঘটে। ধারণা করা যায়, আইভারমেকটিন সেখানে আরও নানা ধরনের পার্র্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে যে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের গবেষণাই করা হয়নি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ব্যবহারে সতর্কতা জারি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনও এ বিষয়ে একাধিক সতর্কবার্তা প্রচার করেছে। ইউএস-এফডিএ তো এমনও বলেছে যে, ‘আপনি যদি ঘোড়া বা গরু না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কেন প্রাণীর কৃমিনাশক ওষুধ খাচ্ছেন?’ পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্টেশন, সে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে কোভিড-১৯-এ আইভারমেকটিন ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে। এই কদিন আগেই বিবিসি এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনও প্রচার করেছে। আইভারমেকটিনই অবশ্য প্রথম ওষুধ নয় যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী এক ধরনের শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও ১৯৫০-এর দশকে জার্মান ওষুধ কোম্পানি কেমি গ্রæনেনথালের তৈরি থেলিডোমাইড নামের ঘুমের বড়িটি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ওষুধটি প্রথম দিকে ঘুমের জন্য ব্যবহার করা হলেও পরবর্তীতে সর্দি-কাশি, বমি আর গর্ভবতী মায়েদের মর্নিং সিকনেসের চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। সে সময়টায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের প্লাসেন্টাল বেরিয়ার আর মায়েদের ওষুধ সেবনের ফলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতির বিষয়টি জানা ছিল না। সঙ্গত কারণেই গর্ভবতী মায়েদের জন্য থেলিডোমাইড নিরাপদ কিনা তা নিয়ে কোন গবেষণাও করা হয়নি। থেলিডোমাইড ব্যবহারের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীতে প্রায় দশ হাজার নবজাতক শিশু এ ওষুধটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাদের বেশিরভাগই মৃত্যুবরণ করে আর যারা আজও বেঁচে আছে, তারা এবং তাদের পরিবার এখনও থেলিডোমাইডের সেই দুঃসহ স্মৃতি বহন করে বেড়াচ্ছে। ১৯৬৮ সালে জার্মানিতে থেলিডোমাইডের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেমি গ্রæনেনথালকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। মনে রাখতে হবে থেলিডোমাইডের মতোই আইভারমেকটিরনও একটি প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি সি ওষুধ। কাজেই ভবিষ্যতে যে এটিও থেলিডোমাইডের মতো কোন ট্র্যাজেডির জন্ম দেবে না, তা কিন্তু হলফ করে বলা যায় না। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত না কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় আইভারমেকটিন একটি নিরাপদ ওষুধ বলে যথাযথ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে, আমরা সরকারের কাছে বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় আইভারমেকটিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার আর্জি রাখছি। পৃথিবী এবং অবশ্যই বাংলাদেশ এখনও কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিরাপদ বলে প্রমাণিত নয় এমন কোন ওষুধের ব্যবহার করার বিলাসিতা দেখাতে পারে না। মাস্ক ব্যবহারে যে কোভিড ঠেকায় তার সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক স্টাডিটি করা হয়েছে এই বাংলাদেশেই। এখন যদি আমরা আইভারমেকটিনে কোভিডে মুক্তি খুঁজি তাহলে মানুষ মাস্ক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে। এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। আইভারমেকটিন নিয়ে এমন আরও প্রশ্ন আছে যার উত্তর এখনও আমাদের অজানা। কোভিড-১৯-এর যেসব রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্ত তরল করার ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের আইভারমেকটিরন খাওয়ালে কি ফলাফল দাঁড়াতে পারে? কি পরিণতি হতে পারে যদি কোভিডে আক্রান্ত গর্ভবতী মাকে আইভারমেকটিন খাওয়ানো হয়? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন ও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, আমেরিকান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন, ইউরোপিয়ান মেডিক্যাল এজেন্সি এবং খোদ আইভারমেকটিনের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান মার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস কোভিড চিকিৎসায় এটি ব্যবহার না করার সতর্কতা দিয়েছে। বাংলাদেশে কেন কোটি কোটি মানুষকে কোভিড ঠেকাতে আইভারমেকটিনের ওপর নির্ভর করতে হবে তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। যদি এই বিশেষ ওষুধটির প্রতি আমাদের এতটাই আস্থা বা পক্ষপাতিত্ব থেকে থাকে, তাহলে অবিলম্বে দেশে আইভারমেকটিনের ওপর একটি প্রপার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করে সর্বাগ্রে ওষুধটির সাইড এফেক্ট ও কার্যকারিতা সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হাজির করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সাক্ষ্য দিচ্ছে যে আইভারমেকটিন কোভিডের চিকিৎসায় কখনই অনুমোদন পায়নি। পৃথিবীর কোন কোন দেশের মতো বাংলাদেশও কোভিডের চিকিৎসায় ওষুধটিকে ব্যবহারের জরুরী অথরাইজেশন দেয়া হয়েছিল মাত্র। যেহেতু একের পর এক আন্তর্জাতিক ও বিশ্ব সংস্থা কোভিড চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ব্যবহারের বিষয়ে সতর্কতা জারি করছে, কাজেই এ বিষয়টিতে নজর দেয়ার জন্য আমরা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশে কোন্ ওষুধ ব্যবহার করা যাবে কিংবা যাবে না এ বিষয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ হচ্ছেন তারাই। মানুষের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধের জন্য আমরা তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকি। লেখকদ্বয় : রিসার্চার, এহিমি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান এবং ডিভিশন প্রধান, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×