ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজড সেবা উদ্বোধন

প্রকাশিত: ২২:০৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজড সেবা উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় ‘মাইগভ র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন’ পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৩টি ডিজিটাইজেশন সেবার উদ্বোধন করা হলো বুধবার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবাসমূহের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে অন্যতম একটি উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে করোনা মহামারীর সময়ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাডাও করোনাকালীন ১৯ মাসে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসনিক কার্যক্রম, বিচারক ব্যবস্থাসহ সবকিছু সচল ছিল। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবস্থা প্রবর্তন করায় দুই কোটির অধিক ফাইল ই-নথি সিস্টেম ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনাকালীন বিভিন্ন অফিসসমূহের লক্ষাধিক কর্মকর্তা ইলেকট্রনিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেছে। এর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময় ও যাতায়াতের হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং লকডাউনে কোন প্রশাসনিক কাজ বন্ধ ছিল না। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের ৭৩টি লাইব্রেরি, ৩০০ কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় আর্কাইভ ডিজিটাইজ এবং আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাতিঘর বাংলা একাডেমিকে ডিজিটাইজ করার বিষয়ে আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মাইগভ র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন প্ল্যাটফর্মের আওতায় ইতোমধ্যে যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চসংখ্যক সেবার (৩০৩টি) ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্র ও কর্মপরিধি কত ব্যাপক। মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১৭টি দফতর-সংস্থার মধ্যে ১০টি দফতর-সংস্থার ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭টি সংস্থার র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজেশনকৃত সেবার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম, চীফ ইনোভেশন অফিসার (অতিরিক্ত সচিব) অসীম কুমার দে ও এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মোঃ হুমায়ুন কবির।
×