ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গার্মেন্টস খুলে দেয়ায় বাঁধভাঙ্গা জোয়ার

ঢাকামুখী মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১ আগস্ট ২০২১

ঢাকামুখী মানুষের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কঠোর বিধিনিষেধের নবম দিনে দেখা গেছে রাজধানীর প্রবেশমুখে মানুষের স্রোত। আজ রবিবার থেকে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ায় কর্মজীবীদের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো আসতে দেখা যায়। চাকরি হারানোর ভয়েই তাদের এ ছুটে আসা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চড়া ভাড়ায় তাদের ফেরা। সাইকেল, রিক্সা, অটো ইজিবাইক, ভ্যান, হলার ট্রলার, ট্রাক ও হোন্ডায় চড়ে তারা আসেন। কিন্তু ঢাকার প্রবেশমুখে তাদের দেখা গেছে-পুলিশের ভয়ে পায়ে হাঁটতে। এ সময় তাদের অভিযোগ অনুযোগের অন্ত ছিল না। রাজধানীর তিনটে প্রবেশমুখ আব্দুল্লাহপুর, সায়েদাবাদ ও গাবতলী আমিনবাজারে সরজমিনে দেখা গেছে-কর্মস্থলে ফেরাদের অধিকাংশই পোশাকশ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্য। রাজধানীতে ফেরা মানুষরা জানিয়েছেন, তাদের ফোন করে জানানো হয়েছে-১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টস খুলছে। তাই চাকরি বাঁচাতে পথে সীমাহীন ভোগান্তি পাড়ি দিয়ে চলে আসা। ভাড়াও গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। বাস চালু না করে হঠাৎ করেই শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার এ সিদ্ধান্তে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ফেরা মানুষের ভিড় দেখা যায়। হাতে-মাথায়-কাঁধে ব্যাগ। তাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু। তারা জানিয়েছে, বাস বন্ধ থাকায় লোকজন মূলত ভেঙ্গে ভেঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যান, হেঁটে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। অনেকেরই গন্তব্য টঙ্গী, গাজীপুর, আশুলিয়ার পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকা। সাইনবোর্ডে এসেও তারা পড়েছেন বিপদে। ভ্যানগাড়ি ছাড়া নেই কোন গাড়ি। পুলিশের ভয়ে দূরে দূরে থেকে এলাকার মধ্য দিয়ে চলছে অটোরিক্সা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে সাইনবোর্ড থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকের সড়কে মানুষের সারি দেখা গেছে। তারা যানবাহনের অভাবে হেঁটেই যাচ্ছেন গন্তব্যে। বেশিরভাগই ভ্যানগাড়িতে গাদাগাদি করে যাচ্ছেন। রাকিব ও সামসুন্নাহার এসেছেন চাঁদপুর থেকে। রাকিব বলেন, আমরা থাকি নারায়ণগঞ্জে। সেখানে গার্মেন্টসে কাজ করি। ভাইঙা ভাইঙা অনেক কষ্ট করে আসছি। অফিস থেকে ফোন করছে, কাইল থেকে খোলা। তাই না আইসা উপায় নাই। শিমুলিয়ায় জনস্রোত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেয়ার সরকারী ঘোষণার পরপরই কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ঘাট দিয়ে যাত্রীরা হন্যে হয়ে ঢাকায় ছুটেছেন। করোনার মৃত্যুর মিছিলে সত্ত্বেও ভয়াবহ সংক্রমণ ঝুঁকিতে শিমুলিয়া ঘাটে ছিল অসংখ্য মানুষের উপচেপড়া ভিড়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া আর বিড়ম্বনা নিয়ে বিভিন্ন যানে করে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি রুটে আঠারোটি ফেরির মধ্যে দশটি ফেরিতে করে পারাপার চলছে। দীর্ঘ ভিড়ের মধ্যেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন বেপরোয়া মানুষ। পদ্মার স্রোতে সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায় উপচেপড়া ভিড়েও ৭টি ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি ঘাটে ভিড়তেই হুড়োহুড়ি। কে কার আগে নামবে সেই প্রতিযোগিতা। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন না। ঘাটে আসার পর কাভার্ডভ্যান ও নসিমনে পণ্যের মতো গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা। নানা রকম যানে অতিরিক্ত ভাড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজধানী ফিরছেন মানুষ। বাংলাবাজার ফেরিঘাটে তিল ধারণের ঠাঁই নেই ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত মাদারীপুরের শিবচর বাংলাবাজার ফেরিঘাটে শনিবার ভোর থেকে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত দেখা গেছে। মানুষের পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। লকডাউনের কারণে বাংলাবাজার ঘাটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোড চলাচল। হাল্কা যানে কর্মস্থলে যেতে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি হাল্কা যানবাহনে ৪/৫ গুণ ভাড়া দিয়ে ঢাকা যেতে বাধ্য হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষ। গণপরিবহন চালু না করে শিল্প-কলকারখানা খোলার সিদ্ধান্তে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। দৌলতদিয়ায় জনস্রোত ॥ সংবাদদাতা জানান, কাজে যোগ দেয়ার জন্য ছুটছে সাধারণ মানুষ। মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় হেঁটে, ট্রাক, অটোটেম্পুসহ ইঞ্জিনচালিত যানবাহনে ওপর নির্ভর করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মমুখী হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলার সাধারণ মানুষ। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে ঘাট সংশ্লিষ্ট এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া হয়। ভোগান্তি উপেক্ষা করে ছুটছে মানুষ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শনিবার সকাল থেকেই ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় লেগে ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে ইজিবাইক, ভ্যান রিক্সা যোগে টার্মিনালে এসে হাজির হচ্ছে তারা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এই কর্মজীবী মানুষ। কাজে যোগ দিতে ইজিবাইক, মাহেন্দ্রসহ ছোট ছোট যানে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাদের। চিলমারী রমনা ঘাটে জনতার ঢল ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, করোনা আতঙ্ক পিছে ফেলে, লকডাউন উপেক্ষা করে জনস্রোত নেমেছে কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মুখে মাস্ক নেই। পা ফেলানোর জায়গা নেই নৌকা কিংবা নৌযানগুলোতে। দ্রুত ঢাকা ফেরার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। হয়রানির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। দুর্ভোগ চরমে। দ্বিগুণ ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হলেও অজ্ঞাত কারণে নীরব প্রশাসন। বিপাকে বরিশালের পোশাক শ্রমিকরা ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, শনিবার সকালে বরিশালে রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। কঠোর লকডাউনের কারণে যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করায় মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে নানান কৌশলে যাত্রীরা ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। অনেকেই কোন ধরনের যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বগুড়ার মোড়ে মোড়ে মানুষদের স্রোত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, শনিবার সকাল থেকে বগুড়ার বাইপাস সড়কের মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত নামে। ঢাকামুখী মহাসড়কের এই মোড়গুলো তৈরি হয়ে ওঠে অনির্ধারিত ট্রাক স্টপেজে। মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী ট্রাক হয়ে ওঠে গণপরিবহন। কর্মস্থলে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে দুর্ভোগে পড়া গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানার শ্রমিকদের জীবন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি উপেক্ষা করে ট্রাক ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে ঢাকায় যেতে দেখা গেছে। এ কারণে মহাসড়কের অনেক স্থানে কিছু সময়ের যানজটেরও স্ৃিষ্ট হয়। ট্রাকে যাত্রী প্রতি নেয়া হচ্ছে ৬শ’ থেকে ১ হাজার টাকা এবং মাইক্রোবাসে যাত্রীপ্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। চাকরি বাঁচাতে ট্রাকে উঠছেন নারী ॥ সংবাদদাতা জানান, নাসরিন আক্তার (৩৮) গাজীপুর একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন ছুটিতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে নিজ বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। মহামারী করোনা মোকাবেলায় কঠোর লকডাউন থাকায় ৫ আগস্ট পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকার কথা ছিল। রংপুরে সড়ক অবরোধ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ‘সরকার কখন যে কি কয় বুঝি না। করোনার জন্য গার্মেন্টস বন্ধ করি দেইল। কোন মতে কষ্ট করি বাড়ি আলছি। এখন বাস-ট্রেন খুলি না দিয়া গার্মেন্টস খুলি দেছে। হামরা কি উড়ি উড়ি ঢাকা যামো?’ ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের পীরগাছার বড়দরগার বাসিন্দা শামীম। তিনি গাজীপুরে একটি কারখানায় কাজ করেন। ঈদের আগে ছুটি পেয়ে বাড়ি এসেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ গার্মেন্টস খুলে দেয়ার ঘোষণায় বিপাকে পড়ে যান তিনি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকা যাওয়ার জন্য রংপুরে এসে ৪ ঘণ্টা বসে থাকার পরও কোন পথ বের করতে পারেননি। মানুষের ঢল পাটুরিয়া ঘাটে ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, রাজধানী ও এর আশপাশ এলাকার শিল্প-কারখানায় কাজে যোগ দিতে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। এ কারণে চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। শনিবার সকাল থেকে ফেরিতেই পার হচ্ছে কর্মস্থল ফেরত মানুষের। গাদাগাদি করে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া আসছে কর্মজীবী মানুষেরা। ভোলায় ফেরিতে হাজার হাজার যাত্রী ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, গার্মেন্টসসহ শিল্প-কলকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার পর শনিবার সকাল থেকে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ইলিশা ফেরিঘাট ভিড় করে। সকাল দশটার দিকে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রথম ফেরি ঘাটে পৌঁছলে হাজার হাজার যাত্রী কে কার আগে উঠবে তার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের থামাতে পারেনি। কোন যানবাহন তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের ফেরিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ছিল না কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। প্রচ- গরমে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। লকডাউনে লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছে বিপাকে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে প্রথম ফেরি ছেড়ে গেলেও কয়েক হাজার যাত্রী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ফেরিঘাটে অপেক্ষা করে পরের ফেরির অপেক্ষায়। মাগুরায় চরম ভোগান্তি ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শনিবার মাগুরায় ঢাকাগামী গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গার্মেন্ট ও রফতানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিক ঢাকায় যাওয়ার জন্য মাগুরা শহরের ঢাকা রোড ও ভায়নার এলাকায় সমবেত হয়। বাস চলাচল না করার কারণে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে উচ্চ ভাড়া দিয়ে অটো, মহেন্দ্র ও গ্রামবাংলাতে করে রওনা দিচ্ছে। ভাড়া দিতে হচ্ছে কয়েকগুণ। মধুখালী পর্যন্ত অটোতে ভাড়া নেয়া হচ্ছে এক শ’ টাকা এবং ফরিদপুর পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে দুই শ’ টাকা। যে যা পাচ্ছেন তারে করে রওনা দিচ্ছেন। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। শ্রমিকদের বক্তব্য একভাবে না একভাবে ঢাকায় যেতেই হবে। ফলে ভাড়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শ্রমিকের ঢল ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, কঠোর লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণায় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক বাসস্ট্যান্ডগুলোতে কর্মজীবী নারী ও পুরুষ পোশাক শ্রমিকদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। যে যেমন পরিবহন পাচ্ছেন তাতে চেপেই গন্তব্যে যাচ্ছে। শসকাথেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতুকের বিণ্ণ পয়েন্টে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের এমন উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এছাড়াও ভোরের দিকে অনেক বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। শনিবার সকাল থেকে লকডাউনে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় টাঙ্গাইল শহরের আশেকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় এলাকায় রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুরের দিকে দেগেছে, যাত্রীবাহী বাসে গাজীপুরের চন্দ্র পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা। ৬টা থেকে ৭টা বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে সিএনচাঅটোরিক্সায় ভূঞাপুর হতে চন্দ্রা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৬০০ টাকা করে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঢাকামুখী মানুষের ঢল। এর ফলে কর্মস্থলে ফেরা এসব শ্রমজীবী মানুষজন খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে স্বাভাকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে এ সকল পরিবহনের সংশ্লিষ্টরা। এ যাত্রায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সকাল থেকে থেমে থেমে শুরু হওয়া বৃষ্টতে ভিজে খোলা ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করতে চরম ভোগান্তপোহাচ্ছেন তারা। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, আশেকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, মির্জাপুর অংশে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় রয়েছে। এছাড়াও পনা পেয়ে অনেককেই হেঁটে যেতে দেখা গেছে। তবে মহাসড়কে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার ঝুনিয়ে চলাচল করা এসব বিষয়ে পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
×