ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া ঘাট মাওয়ায় সরানোর সুপারিশ

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৭ জুলাই ২০২১

শিমুলিয়া ঘাট মাওয়ায় সরানোর সুপারিশ

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুকে এড়িয়ে চলতে শিমুলিয়া ঘাট পার্শ্ববর্তী পুরোনো মাওয়া ঘাটে সরানো নিয়ে আলোচনা চলছে। পদ্মা সেতুর খুঁটিতে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তিনটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে শিমুলিয়া ঘাট পার্শ্ববর্তী পুরোনো মাওয়া ঘাটে সরানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। এতে ফেরি রুটের দূরত্বও কমবে ২ কিলোমিটার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উজানে থাকা বাংলাবাজার ঠিক রেখে শিমুলিয়াকে সরিয়ে উজানে আনাই যুক্তিযুক্ত। মাঝিকান্দিকে সরালে বিড়ম্বনা, ব্যয় এবং সময় বাড়বে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটের এখন দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। মাওয়া ঘাটে স্থানান্তর হলে বাংলাবাজার ঘাটের দূরত্ব হবে ৯ কিলোমিটার। এতে সময় এবং জ্বালানি খরচ হ্রাস পাবে ১৫ শতাংশ করে। শিমুলিয়া ঘাট মাওয়ায় স্থানান্তরে খরচ হবে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এতে পদ্মা সেতু ক্রস করবে না। ঘাট স্থানান্তরে সময় লাগবে প্রায় ৩ মাস। আর মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট শরীয়তপুরের মাঝিকান্দিতে স্থানান্তরে সময় লাগবে প্রায় চার মাস। ব্যয় হবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া নদীর চ্যানেলে নাব্যতা ফেরাতে ড্রেজিং এবং ঘাটের কাছের নদীর শাসনের জন্য ফেলা বøকের ওপর মাটি ফেলতে হবে। এতে ব্যয় হবে আরও কোটি টাকা। ফেরির দূরত্ব¡ কমবে ৩ কিলোমিটার। তবে সড়কের দূরত্ব বাড়বে ৪ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর পিয়ারে ফেরি শাহজালালের ধাক্কার ঘটনায় ফেরিটির মাস্টার আব্দুর রহমানসহ ৪ জনকে শনিবার ভোর রাতে আটক করে শিবচরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার রাত ১২টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পদ্মা সেতুর পিয়ারে ফেরি শাহজালালের ধাক্কার ঘটনায় তদন্ত কমিটির দেয়া রিপোর্টে তিন সুপারিশের একটি শিমুলিয়া ফেরিঘাট আড়াই কিলোমিটার পশ্চিমে মাওয়া অথবা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট ৮ কিলোমিটার দূরের শরীয়তপুরের মাঝিকান্দিতে সরিয়ে নেয়া। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন পদ্মা সেতুকে এড়িয়ে ফেরি চলাচলে মাওয়াতেই ঘাট স্থানান্তর বেশি উপযোগী হবে। এই বিষয় মাথায় রেখেই নানা প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘাট স্থানান্তরে বেশি উপযোগী হবে মাওয়া পুরোনো ফেরি ঘাট। এই ঘাট উজানে থাকার কারণে নাব্য সঙ্কট কম থাকবে এছাড়াও ফেরি পথ কমবে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার। প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক পথও কমবে। বর্তমানে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। তবে এটি স্থানান্তরে কিছুটা সময় লাগবে এবং মাওয়া চৌরাস্তা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। তবে এই ঘাট মাওয়ায় স্থানান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজ কিছুটা বিঘিœত হতে পারে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালু হতে এক বছরেরও কম সময় লাগবে। তাছাড়া বর্ষার প্রবল ¯্রােত থাকবে আরও প্রায় দুই মাস। বিগত প্রায় ৮ মাস ধরে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই ফেরিগুলো চলাচল করছিল। কিন্তু এই ¯্রােতের প্রতিকূলে চলাচলে সক্ষম ফেরি এবং দক্ষ চালক দিয়ে পরিচালনা করা এবং পদ্মা সেতুর নদীতে থাকা ৪০টি পিয়ারের ২০টির পাইল ক্যাপে ফেন্ডার স্থাপন করা হলেই সঙ্কটের অবসান ঘটতে পারে। তবে তদন্ত রিপোর্ট জমা হওয়ার পর বিআইডবিøউটিসির চেয়ারম্যান পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালককে ঘাট স্থানান্তরের সুপারিশ উল্লেখসহ পত্র লিখেছেন। তবে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরের শরীয়তপুরের পুরোনো মাঝিকান্দি ঘাটে স্থানান্তরে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাঝিকান্দি ঘাটের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ভাল নয়। এছাড়া এই ঘাটের পদ্মা সেতুর নদী শাসনের প্রচুর বøক ফেলা হয়েছে। এই বøক ফেরির তলদেশের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া ভাটির এই ঘাটকেন্দ্রিক নাব্য সঙ্কটের আশঙ্কা প্রকট। বিআইডবিøউটিএ চেয়ারম্যান, কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ঘাট সরিয়ে নিলে সুবিধাই হবে। আমরা বিআইডবিøউটিএর পক্ষ থেকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেতু কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। এখানে দুইটা সমস্যা আছে। প্রথমত জমিগুলো সব দিয়ে দেয়া হয়েছে সিনো হাইড্রোকে। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও সেতু বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য। এখন যদি আমরা ফেরিঘাট সেখানে নিতে চাই তাহলে পুরো প্রশাসনিক বিষয় জমি অধিগ্রহণ, জমি আবার ফেরত নেয়া তাছাড়া পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার বিষয়। এগুলো নিয়ে খুব কঠিন হবে। আর দ্বিতীয় হলো সেখানে আবার নদীর তীর রক্ষার কাজ করা হয়েছে। এখন যদি আমরা ফেরিঘাট সেখানে শিফট করি তাহলে তীর রক্ষার কাজে ইফেক্ট আসতে পারে। এ দুটি কারণে ঘাট স্থানান্তর হয়নি। এখন যখন আবার সুপারিশ এসেছে এখন হয়তো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চিন্তা করবে কিভাবে এর সমাধান করা যায়। তাহলে একেবারেই পদ্মা সেতু থেকে আমরা উজানে নিয়ে গেলাম। কিন্তু বিষয়টা এখানেই শেষ হবে না। কারণ এটা আমাদের উত্তরবঙ্গে মালামাল পরিবহনের প্রধান রুট। এই রুটে প্রতিদিন লাখ লাখ টন মালামাল মোংলা পোর্ট, চট্টগ্রাম পোর্ট, পায়রা পোর্ট থেকে উত্তরবঙ্গে যাবে। খাদ্যশস্য ছাড়াও সিমেন্ট, কয়লা, তেল। এছাড়া ভারত থেকে যে সমস্ত মালামাল যাতায়াত করে প্রটোকল রুটে সেজন্য এই রুটটা ব্যবহার করা হয়। সেসব চিন্তা করেই কিন্তু পদ্মা ব্রিজের উচ্চতা বা পিয়ার টু পিয়ারের দূরত্ব ডিজাইন করেছিল। যাতে বড় বড় কার্গো জাহাজ এখান দিয়ে যাওয়া আসা করতে পারে। তিনি আরও বলেন শুধু ফেরির কথা চিন্তা না করে এই রুটটি কিভাবে নিরাপদ রাখা যায়। সবদিক থেকেই চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন যদি এই রুট ব্যবহারকারীরা সতর্ক থাকে তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানোও সম্ভব। অপর দুইটি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতুর পাইল ক্যাপে রবার স্থাপন এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের দুর্বল ফেরি সরিয়ে স্রোতের সাথে পাল্লা দিতে সক্ষম ফেরি চলানো। শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডবিøউটিএ’র উপসহকারী প্রকৌশলী হারিস আহম্মেদ পাটুয়ারী বলেন, শিমুলিয়া ঘাট মাওয়ায় স্থানান্তর সময় লাগবে প্রায় তিন মাস। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাট স্থানান্তরের ব্যাপারে আপত্তি থাকার কথা নয়। বিআইডবিøউটিসিকে জানিয়ে দেয়া হবে। শিমুলিয়ায় ঘাট স্থানান্তর হয় ২০১৪ সালে। এর আগে ঘাটটি প্রায় চার বছর ছিল মাওয়া চৌরাস্তার কাছে ছিল। ১৯৮৬ সালে প্রথম চালু হওয়ার পর দুই যুগ ধরে এখানেই ছিল মাওয়া ঘাট। এটি সরিয়ে নেয়ার প্রায় ১১ বছর পরে আবার ফিরিয়ে আনার কথা উঠেছে। মান্ধাতা আমলের ফেরি ॥ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে বহরে ১৯টি ফেরির মধ্যে বেশ কয়েকটি মান্ধাতা আমলের। বহরের ফেরিগুলোর মধ্যে রো- রো ফেরি ৪টি, মিডিয়াম ফেরি ৬টি, ডাম্ব (টানা) ফেরি ৪টি ও ছোট (কে-টাইপ) ফেরি ৩টি। এ রুটে চলাচলকারী অধিকাংশ ফেরির ফিটনেস নেই। সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়া ফেরি শাহ জালাল ১৯৮২ সালে তৈরি করা হয়। এছাড়া ৪টি ডাম্ব (টানা) ফেরি রায়পুরা, রানীগঞ্জ, রানীক্ষেত ও টাপলু শত বছরের পুরনো। নদীতে একটু উত্তাল ঢেউ ও ¯্রােত থাকলেই ডাম্ব ফেরিগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ করে রাখা হয়। অন্যদিকে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৯ কম্পোজিট। এছাড়া নদীতে সার্বক্ষণিক কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের সদস্যরা টহল দিয়ে থাকেন। এরপরেও ফেরিগুলো পদ্মা সেতুর পিলারে এক মাসে তিন তিনবার আঘাত করেছে- এটা মানতে পারছেন না বোদ্ধা মহল। পদ্মা সেতুর সক্ষমতা ॥ পদ্মা সেতুর সঙ্গে বিশে^র আর কোন সেতুর মিল নেই। পদ্মা সেতু একটি ইউনিক সেতু। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী জানান, ভূমিকম্পের মাত্রা রিক্টার স্কেলে ৮ এর বেশি সহ্য করার ক্ষমতা রাখে পদ্মা সেতু। তিনি বলেন, প্রতি সেকেন্ডে নদীর স্রোতের গতি ৩ মিটার এবং স্রোতের ঘূর্ণি ৬২ মিটার গভীরে গিয়ে মাটি সরিয়ে দেয়া, পুরো সেতু গাড়ি ভর্তি এবং সেতুতে দ্রæতগতির ট্রেন চলমান এই সবগুলো একসঙ্গে হলে এবং ৪ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতার শক্তি দিয়ে পিয়ারে আঘাত করলেই সেতুর ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু শুক্রবার রো রো ফেরি শাহজালালের ধাক্কার ক্ষমতা ছিল প্রায় ১২শ’ মেট্রিক টন। পদ্মা সেতুতে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা বিশে^ এখনও কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়াও বাঙালীদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম ১২২ মিটার পাইল স্থাপন, ১৫ টন ওজনের ৯৮৭২৫ কিলো নিউটন ক্ষমতাসম্পন্ন ফিকশন প্যান্ডুলাম বেয়ারিং ব্যবহার ও নদী শাসনের সর্বোচ্চ ১.১ বিলিয়ন (প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ কোটি) টাকা টাকার চুক্তি নিয়ে পদ্মা সেতু তিন বিশ^ রেকর্ড গড়ে। এছাড়াও কোন নির্মাণ কাজে বিশ্বে প্রথম দুই বিশেষ উপাদান ব্যবহার হয়েছে। একটি হচ্ছে- ভার্টিক্যাল আরসিসি বোর্ড পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট স্কিন ফিকশন করে দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে নদীর তলদেশে বহির্ভাবে শক্তি বৃদ্ধি। পদ্মায় এমন পাইল সংখ্যা ২২টি। অপরটি হলো স্টিল টিউবুলার ড্রিভেন পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট করে পাইলের তলদেশের স্কিন ফিকশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এমন পাইল সংখ্যা ২৫২ টি। ৩টি বিশ্বরেকর্ড নিয়ে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী জানান, সেতুতে ১৫টন ওজনের ৯৮৭২৫ কিলো নিউটন ক্ষমতাসম্পন্ন ফিকশন প্যান্ডুলাম বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। যা উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধক। পুরো সেতুতে ৫ ধরনের ৯৬টি বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৫টি স্প্যানের সঙ্গে ২টি করে বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে ৪টি করে বেয়ারিং ব্যবহার হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৭টি জয়েন্ট থাকছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদী শাসনে চায়না সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে সর্বোচ্চ প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ কোটি টাকার চুক্তি হয়। এটিও বিশ্ব রেকর্ড। নদী শাসনে এখনও পর্যন্ত এত বড় চুক্তি আর কোথাও হয়নি। পদ্মা সেতুর পাইলে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বমোট ২৬৬ পাইল । আর পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের ওজন ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৮ মেট্রিক টন। প্রতিটি স্প্যানের সর্বোচ্চ ওজন ৩০ হাজার ৮৮ মে. টন। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পাইলের সক্ষমতা ১২৪.৬০ মেগা নিউটন। অর্থাৎ প্রায় ৮ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে রয়েছে ১২.১২ কিলোমিটার এ্যাপ্রোচ রোড। সেতুতে সাধারণ আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও আর্কিটেকচার লাইটিংও থাকছে। বিশেষ বিশেষ দিবসগুলোতে এবং বিশেষ সময়ে লাইটিংয়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। পদ্মা সেতুর ন্যাশনাল গ্রিডিংয়ের জন্য সেতুর ৫০০ মিটার ভাটিতে পদ্মায় ৮টি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের পাইল স্থাপন করা হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। ৬.১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর সঙ্গে ৩.৬৮ কিলোমিটার সংযোগ সেতুসহ পদ্মা সেতু হচ্ছে ৯.৮৩ কিলোমিটার। সংযোগ সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১.৪৭৮০৩ কিলোমিটার এবং জাজিরা প্রান্তে ১.৬৭০০৩ কিলোমিটার। আর মূল সেতুর সঙ্গে দুই প্রান্তে রেল সংযোগ সেতু রয়েছে ১.৫৩২ কিলোমিটার। পদ্মা সেতেুতে সিসি ক্যামেরা থাকছে। সেতু চালুর প্রথমেই প্রতিদিন ১২ হাজার যান পারাপার হবে। ২০৩০ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার গাড়ি চলাচলের টার্গেট রয়েছে। শুরুর দিকে প্রতিদিন টোল আদায়ে আয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকার। আর অতিরিক্ত মাল পরিবহন ঠেকাতে সেতুর দুই প্রান্তে দুইপারেই ওয়েব্রিজ বসানো হচ্ছে।
×