ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেখা মিলছে না ইলিশের

চালের দাম কমলেও বেড়েছে ডিম ও আলুর

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১৯ জুন ২০২১

চালের দাম কমলেও বেড়েছে ডিম ও আলুর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মোটা চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের বাজারে বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম কমলেও বেড়েছে ডিম ও আলুর। বর্ষার শুরুতেই বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। মৌসুম শুরু হলেও বাজারে ইলিশ মাছের দেখা নেই। দেশী জাতের প্রায় সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। রাজধানীতে চাঙ্গা ফলের বাজার। হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ এবং বিভিন্ন জাতের আমে ভরে গেছে ফলের বাজার। সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে আম। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার, মোহম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, রায়ের বাজার সিটি কর্পোরেশর মার্কেট এবং নিউমার্কেট কাঁচা বাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমে এসেছে। অন্যদিকে স্বল্প আয়ের মানুষ কিছুটা কম দামে পণ্য কিনতে ভিড় করছেন টিসিবি ট্রাকের সামনে। সেখান থেকে কিনে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। বাজারে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে মোটামানের স্বর্ণা ও চায়না ইরির দাম ২ কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৮ টাকায়। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা এবং সরু চিকন মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম কেজিতে ১ টাকা পর্যন্ত কমেছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলে বেড়েছে আবার বোতলজাত পাঁচ লিটার ও এক লিটার তেলের দাম। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন ২ টাকা কমে ১২২-১২৬, পামওয়েল খোলা ১১০-১১৪ এবং পামওয়েল সুপার ১১৪-১১৮ এবং দাম বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন পাঁচ লিটার ৬৬০-৭৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। প্রতি কেজি মসুর ডালে জাত ও মানভেদে ৮৫-১২০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৬৮-৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মোটা চালের সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফার্মগেট কাঁচা বাজারের চাল ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, অন্যান্য চালের দাম তেমন না কমলেও ধীরে ধীরে মোটা চালের দাম কমে আসছে। তবে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম না কমায় ভোক্তাদের অসন্তুষ্টি রয়েছে। নিত্যপণ্যের বাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেড়ে চলেছে ডিমের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি ফার্মের লাল ডিম ৩৫-৩৭ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। ডিমের সঙ্গে কিছুটা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাকিস্তানী কক খ্যাত লাল মুরগির দাম কমে এসেছে। প্রতি কেজি পাকিস্তানী লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। যা গত রমজানে প্রায় ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে খুচরা বাজারে। বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মুদি পণ্যের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে ডিমের দাম বাড়ছে। পোল্ট্রি খামারে উৎপাদন কম হওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া কেজিতে ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। এছাড়া মৌসুম শুরু হলেও বাজারে ইলিশ দেখা যাচ্ছে না। সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা না পড়ায় বাজারে সরবরাহ নেই বললেই চলে। দু’চারটি যা আসছে তা চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য জাতের দেশী মাছের দামও চড়া। বর্ষা শুরু হওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
×