ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দোহার পৌর এলাকায় ভাগাড় ॥ স্বাস্থ্য ঝুঁকি

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১২ জুন ২০২১

দোহার পৌর এলাকায় ভাগাড় ॥ স্বাস্থ্য ঝুঁকি

সংবাদদাতা দোহার-নবাবগঞ্জ, ১১ জুন ॥ দোহার পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়াতে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদের মাঝামাঝি স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে বর্জ্য। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ভাগাড়। সামনেই দোহার প্রেসক্লাবে যাওয়ার প্রধান সড়ক। ভাগাড়টি পরিবেশ দূষণসহ মানুষের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারখানায় পরিণত হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। স্থানীয়রা জানান, সরকারী হাসপাতালের পাশে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে ময়লার স্তূপ। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় রাস্তাটি মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এছাড়া জয়পাড়া বাজার বড় ব্রিজের দু’পাশে দোহার উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকের বর্জ্য, বাজারের ময়লা, আবর্জনা ফেলে জয়পাড়া খাল ভরাট করার প্রতিযোগিতা চলছে। এ সকল ময়লা, আবর্জনা পচে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ। কিছু কিছু স্থানে নাক চেপে যেতে হয় পথচারীদের। দীর্ঘদিনেও এসব ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে না নেয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ বিষয় দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জসিমউদ্দিন বলেন, এটা জয়পাড়া বাজারে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ও আশপাশের দোকানিদের ময়লা। আমাদের হাসপাতালে যে ময়লা আছে সেগুলো আমরা আমাদের ডাস্টবিনে রাখি। এমন পরিবেশ কারও কাম্য নয়। আমরা এর প্রতিকার চাই। ক্লিনিকের পরিচালকরা জানান, তাদের ক্লিনিকের যে ময়লা আছে সেগুলো পৌরসভার লোকজন এসে সকালে নিয়ে যায় এরপর তারা কোথায় ফেলে বা কি করে সে বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, ক্লিনিকের বর্জ্যরে ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন দায়িত্ব নেই, সেটা হেল্থ ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব। এছাড়া পৌরসভা আওতাধীন সাধারণ বর্জ্য আমরা মেইনটেন করি। এখনও আমরা সরকারীভাবে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জমি পাইনি। তবে ভূমি অফিস থেকে পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজিরচর এলাকায় একটি জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। সান্তাহার নিজস্ব সংবাদদাতা সান্তাহার থেকে জানান, প্রথম শ্রেণীর সান্তাহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যততত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে শহর নোংরা ও পরিবেশন দূষণ করে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নাগরিক কমিটি। নাগরিক কমিটির নেতা অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন পার্কের প্রবেশপথে, মহল্লার পাশে এবং একাধিক সড়কের জলাধারে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় গড়ে তোলা হয়েছে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও দৃশ্যমান চিত্রটি রয়েছে বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরে। ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অনুষ্ঠান আয়োজক এবং বিনোদনপিয়াসীরা ব্যাপক সুনাম অর্জন করা ফারিস্তা কমিউনিটি সেন্টার ও পার্ক নামের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শহরের লোকো পশ্চিম কলোনি আবাসিক মহল্লার পাশে ভাগাড় করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ এবং ভাগাড়টি সরিয়ে নেয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে ওই মহল্লার ফেসবুক ব্যবহারকারী তরুণ সমাজ। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শহরকে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার সেøাগানের প্রচার চালিয়ে খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষই করে চলেছেন উল্টো কার্যক্রম। এ বিষয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন বলেন, সান্তাহার পৌরসভা মূলত রেলওয়ে জংশনভিত্তিক। ফলে জাগয়ার বড়ই সঙ্কট। স্থায়ী ভাগাড় নির্মাণে রেলওয়ের অপ্রয়োজনীয় এবং জলাবদ্ধ জমি স্থায়ী বরাদ্দ নেয়ার জন্য যোগাযোগ চলছে। স্থায়ী ভাগাড় নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সকলকে এই কষ্ট মেনে নিতে হবে।
×