ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেড় মাস পর একনেক সভা আজ

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ৪ মে ২০২১

দেড় মাস পর একনেক সভা আজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হলেও চলতি বছরের শুরু থেকে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে একনেক। এদিকে সর্বশেষ একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৬ মার্চ। দেড় মাসের বেশি সময় বিরতির পর আজ মঙ্গলবার একনেক সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বেলা সাড়ে ১০টায় একনেক শুরু হবে। একনেক সভার সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের কথা রয়েছে। সূত্র বলছে, চলতি বছরের প্রায় সাড়ে তিন মাসে এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম একনেক অনুষ্ঠিত হয় গত ৫ জানুয়ারি। ওই সভায় ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর প্রায় এক মাস পর ৩ ফেব্রুয়ারি একনেকে আট প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর একনেক অনুষ্ঠিত হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি, তাতে নয়টি প্রকল্প অনুমোদন পায়। তারপর সর্বশেষ একনেক অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬ মার্চ, তাতে ছয় প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চার একনেকে নতুন ও সংশোধিত মিলিয়ে মোট ২৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই একনেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে তখনও অনিয়মিতভাবে একনেক অনুষ্ঠিত হয়। সংক্রমণ কমলে ফের নিয়মিতভাবে চলেছে একনেক। কিন্তু ২০২১ সালের শুরু থেকেই একনেক কম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুর রহমান বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে যুক্ত থাকবেন। একনেক সভা শেষে বেলা ২টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, একনেক সভায় মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনের আগে জুম আইডি ও পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেয়া হবে। সাংবাদিকদের একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। সম্প্রতি এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একনেক হচ্ছে না, কারণ মনোযোগের বেশিরভাগটা নিয়ে গেছে করোনা। দ্বিতীয়ত, আমার এখানে যারা কাজ করে, এসব ক্ষেত্রে যারা কুশীলব, যারা কাগজপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করে, কাজ করে, তাদের অনেককেই আমরা ছুটি দিয়েছি করোনাজনিত কারণে। লোক কমিয়ে আনা হয়েছে অফিসের। উপস্থিতি কম। সুতরাং প্রকল্পের কাগজগুলো কম গতিতে এগোচ্ছে। আগে যেখানে লাগত এক সপ্তাহ, এখন সেখানে লাগছে এক মাস। ফলে মিটিং করে তো লাভ নাই, যদি কাগজ হাতে না থাকে আমাদের। এজন্য মিটিং আমরা কম করছি আগের তুলনায়। এটা সাময়িক একটা ব্যাপার।’
×