বাগেরহাটে কিশোরী ও নারায়ণগঞ্জে যুবতী ধর্ষণের শিকার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাগেরহাট ও নারায়ণগঞ্জে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বাগেরহাটের চিতলমারীতে ইউপি সদস্যের লালসার শিকার কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক যুবতী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর স্টাফ রিপোর্টারদের পাঠানো। স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক ইউপি সদস্য ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী লোকলজ্জার ভয়ে ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে চরবানিয়ারী ইউনিয়নে পাঁচপাড়া গ্রামে এ পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বস ত্রাণ দেয়ার কথা বলে ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে ভিকটিমের পরিবার থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস রবিবার সকাল ১১ টায় ত্রাণ দেয়ার কথা বলে ওই ওয়ার্ডের পাঁচপাড়া গ্রামের এক পরিবারের বাড়িতে যান। এ সময় বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় ওই ছাত্রীকে কাছে ডেকে ওই ইউপি সদস্য একগ্লাস পানি আনতে বলেন। মেয়েটি পানি নিয়ে কাছে এলে লম্পট ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাস তাকে ঘরে আটকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ নগরীর দেওভোগ এলাকায় এক যুবতী (১৮) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) ধর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই যুবতীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত রামু চন্দ্র বর্মণ ওরফে রাম বর্মণকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে রামু চন্দ্র বর্মণ ওই যুবতীর বাসায় যায়। এ সময় ওই যুবতীকে বাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই যুবতীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত রাম বর্মণ পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা চালানো হয়। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) যুবতীর মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই রাতেই নগরীর কালীরবাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত রাম বর্মণকে গ্রেফতার করা হয়।