ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মঠবাড়িয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত: ১৭:০২, ২ মার্চ ২০২১

মঠবাড়িয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার চাষিদের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রশিক্ষণ পেলে উপজেলায় পেয়াজের বাম্পার ফলন সম্ভব বলে চাষীরা জানান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, কৃষি ক্যালেল্ডার অনুযায়ি ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পেঁয়াজ আবাদের সময়। এ সময়ের মধ্যে উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। তবে আমন ধান কাটতে দেরী হওয়ায় অধিকাংশ চাষী ১৫ আক্টোবরের পরে পিয়াজ আবাদ করেছে। উভয় সময়ে উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে ধানীসাফা, আমড়াগাছিয়া, টিকিকাটা ও মিরুখালী ইউনিয়নে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মন। পেঁয়াজ চাষে চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৫ জন চাষীকে ২৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ (বিচি) দেয়া হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণের অভাবে চাষিরা বীজ দিয়ে সঠিকভাবে চাষ করতে পারেনি। তাই চাষীদের বীজ পেঁয়াজ কিনে আবাদ করতে হয়েছে। উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের আছাদুল ও সাইদুল জানান, তারা ৩০ শতাংশ করে জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে ভাল ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। উত্তর মিরুখালী গ্রামের চাষি আফজাল জমাদ্দার (৫৮) জানান, ট্রেনিং না থাকায় কৃষি অফিস থেকে দেয়া বীজ দিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। পরে বীজ পেঁয়াজ কিনে ১৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ আবাদে তার প্রায় আট হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি করে আসল টাকার পর লাভের মুখ দেখবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, পেঁয়াজ চাষিদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চাষিদের মধ্যে পিয়াজ চাষে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন জানান, পেঁয়াজ আবাদের মৌসুম ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। আমন ধান দেরীতে আসায় পিয়াজে আবাদে দেরি হয়। আমন ধান আবাদের সময় এগিয়ে এনে সময় মত পেঁয়াজ আবাদ করলে বাম্পার ফলন সম্ভব বলে তিনি জানান।
×