ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়রের ঘোষণা

ঢাকা দক্ষিণে অনুমোদন ছাড়া গৃহায়ন প্রকল্প বন্ধ

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ঢাকা দক্ষিণে অনুমোদন ছাড়া গৃহায়ন প্রকল্প বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সংস্থাটির অনুমোদন ছাড়া গড়ে উঠা সকল গৃহায়ন প্রকল্প বা হাউজিং প্রজেক্ট বন্ধ করে দিতে হবে বলে কঠোর ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। একইসঙ্গে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ডিএসসিসি এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বুধবার সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মোঃ বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মোঃ আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ খায়রুল বাকের, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শেখ তাপস বলেন, বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি দ্বারা অবৈধভাবে ভরাট করে বিল্ডিং করেছে, ভূমিদস্যুদের দ্বারা আমাদের শহর আগ্রাসনের শিকার তা আমরা সরেজমিন পরিদর্শনের সময় দেখেছি। সেই সঙ্গে নির্দেশনা দিয়েছি যেন এসব কাজ বন্ধ করা হয়। মেয়র বলেন, বালু নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে সেই সঙ্গে রামপুরা খালের একটি বড় অংশ ভরে গেছে। যে কারণে পানির প্রবাহ নেই, আমরা যে ভেতরে পরিষ্কার করছি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি সেখানে যদি পানির প্রবাহ না পাই তাহলে সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশিত হবে না। খাল পরিষ্কার কার্যক্রম মার্চ থেকে প্রসারিত করে এপ্রিল পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছি। আমরা পাম্প স্টেশনগুলো যেভাবে চালু করার পরিকল্পনা করেছি। আমরা একটি পাম্প ইতোমধ্যে চালু করেছি এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি পাম্পগুলো চালু করতে পারব। আমাদের প্রচেষ্টা হলো আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে খাল কালভার্টের সংযোগগুলোতে পানি প্রবাহ একটা অবস্থায় আনতে পারি। শেখ তাপস বলেন, মশার ওষুধ বা কীটনাশকের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য আমরা বারবার পরীক্ষা করাই। বেশি দিন ধরে যদি একটি কীটনাশক বার বার ব্যবহৃত হয় তাহলে সেটা মশার জন্য সহনশীল হয়ে যায়। তিনি বলেন, এজন্য আমরা কীটনাশক পরিবর্তন করে দিচ্ছি, আমরা ইতোমধ্যে নতুন কীটনাশক আমদানি করেছি। আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে নতুন কীটনাশক ব্যবহার করা হবে। আমরা আশাবাদী আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শীত মৌসুমে যেহেতু পানির প্রবাহ কমে যায় তাই কিউলেক্স মশা বৃদ্ধি পায় এই সময়। আমরা আশাবাদী যে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি এই কারণেও আগামীতে মশক কমে যাবে। ঢাকা শহরের মাঠ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমরা চাই প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান থাকে যেন আমাদের সন্তানরা সেখানে খেলাধুলা করতে পারে। আমাদের কাজ বেগবান করছি যাতে করে ঢাকাবাসীকে উন্নত ঢাকার সুফল আমরা দিতে পারি। আজকে কমলাপুর সংলগ্ন টিটিপাড়া এলাকা আমরা পরিদর্শন করলাম এখানে রেলওয়েসহ বেশ কিছু সরকারী জমি অবৈধ দখল অবস্থায় আছে। এসব জমি যেন আমাদের হস্তান্তর করা হয় সেই লক্ষ্যে আমরা চিঠি দিব। আমরা যেন আমাদের সন্তানদের জন্য এসব স্থানে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে পারি সে বিষয়ে আমরা কাজ করব। তাপস বলেন, যেসব স্থান আমরা দখলমুক্ত করছি সেসব জায়গা আমরা ডিএসসিসির আওতায় উন্মুক্ত স্থান হিসেবে কাজ করছি, যেন আমাদের সন্তানরা খেলাধুলা করতে পারে। কোন প্রতিষ্ঠান বা ক্লাবকে আমাদের মাঠ দিব না। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জায়গা আমরা দখলমুক্ত করেছি সেখানে উন্মুক্ত মাঠ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ চলছে। আগামী মাস থেকে সেখানে আমাদের সন্তানরা খেলতে পারবে।
×