ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মানব শরীরে লক্ষাধিক ভাইরাসের বাস

প্রকাশিত: ০১:১২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মানব শরীরে লক্ষাধিক ভাইরাসের বাস

মানুষের পরিপাকতন্ত্রে এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি ভাইরাস রয়েছে। ভাইরাস হলো একপ্রকার অতি ক্ষুদ্র জৈবকণা বা অনুজীব যারা জীবিত কোষ বংশবিস্তার করতে পারে। এরা এক্যারিওটা শ্রেণীর সদস্য ও আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়। এরা সরলতম জীব। ভাইরাস জৈব রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গঠিত এবং উপযুক্ত পোষক দেহের অভ্যন্তরে পোষক দেহের জৈব রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। সকল ভাইরাসে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ভাইরাস মানুষ, পশু-পাখি ও উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের পরিপাকতন্ত্রে বসবাসকারী এক লাখ ৪০ হাজার ভাইরাসের অর্ধেকের বেশিকে কখনও দেখা যায়নি। সেগুলো অদৃশ্যমান। ওয়েলকাম সাঙ্গার ইনস্টিটিউট ও ইএমবিএল’র ইউরোপিয়ান বায়োইনফরমেটিকস ইনস্টিটিউট মানুষের অন্ত্রে এক লাখ ৪০ হাজার ভাইরাসের উপস্থিতি টের পেয়েছে। গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশ হয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত অন্তত ২৮ হাজার পরিপাকতন্ত্রের নমুনা নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষকরা যে তথ্য পেয়েছেন, সেটি ধারণার চেয়েও বেশি। মানব শরীরে কিভাবে এগুলো প্রভাব ফেলে এগুলো এখন গবেষকদের নতুন গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাকটেরিয়া ও হাজার হাজার ভাইরাসকে একত্রে ব্যাকটেরিওফেজ বলা হয়, যেটি ব্যাকটেরিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। এমনকি তাদের বেঁচে থাকতেও সহায়তা করে তারা। ওয়েলকাম সাঙ্গার ইনস্টিটিউট ও ইএমবিএল’র ফেলো ড. আলেক্সান্ডার আলমেইডা বলেন, ‘এটি আমাদের মনে রাখতে হবে, সকল ভাইরাস আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়।’ অন্যদিকে ওয়েলকাম সাঙ্গরের প্রথম লেখক ড. লুইস এফ. ক্যামারিলো-গুওরেরো বলেন, ‘আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল ভাইরাস সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানা এবং ভাইরাসের গঠন ও কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা।’ ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা হতে গৃহীত একটি শব্দ, যার অর্থ হল বিষ। আদিকালে রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হত। উদ্ভিদ ও প্রাণীর বহু রোগ সৃষ্টির কারণ ভাইরাস। হল্যান্ডের প্রাণরসায়নবিদ এডলফ মেয়ার (১৮৮৬) তামাক গাছের মোজাইক নামক ভাইরাস রোগ নিয়ে সর্বপ্রথম কাজ শুরু করেন। - সায়েন্স ডেইলি ও উইকিপিডিয়া অবলম্বনে
×