ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ও কাল ভাসানচর যাচ্ছে তিন হাজার রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

আজ ও কাল ভাসানচর যাচ্ছে তিন হাজার রোহিঙ্গা

এইচ এম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ রোহিঙ্গারা বলছে উখিয়া টেকনাফের ঝুপড়ি কক্ষের চেয়ে ভাসানচর বহুগুণে ভাল। আজ বৃহস্পতি ও কাল শুক্রবার তৃতীয় দফায় ভাসানচরে যাচ্ছে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা। এ উপলক্ষে বুধবার সি-লাইন সার্ভিসের যাত্রীবাহী ২০টি মিনিবাস ও মাল বহনকারী ১০টি ডাম্পারের সাহায্যে আশ্রয় ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো নিয়ে আসা হয়েছে ট্রানজিট পয়েন্টে। আরআরআরসি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের জমায়েত করা হয়েছে উখিয়ার ডিগ্রী কলেজ মাঠ ট্রানজিট ক্যাম্পে। আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং শিবির থেকে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গার দুইটি দল নোয়াখালীর হাতিয়া ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। বালুখালী ক্যাম্প নং-৮ পূর্ব, ৯, ১০, ১১, ১২, ও ১৮ নম্বর ক্যাম্প থেকে বিশাল বহরের একটি রোহিঙ্গার দল আজ বৃহস্পতিবার ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে। কাল শুক্রবার কুতুপালং-১ ইস্ট, ২ ইস্ট, এবং ২ ওয়েস্ট ক্যাম্প থেকে আরও একটি রোহিঙ্গার দল ভাসানচরে রওনা দেবে। উখিয়ার বালুখালী শিবিরের একজন মাঝি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে স্বেচ্ছায় ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট তাদের তালিকা যারা জমা দিয়েছিল, তারা আজ ভাসানচরে যাচ্ছে। তৃতীয় দফায় দুইদিনে রোহিঙ্গাদের বিশাল বহর স্বেচ্ছায় ভাসানচরে রওনা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ও সহায়তা দিচ্ছে। নুরে আনকিছ নামে এক রোহিঙ্গা গৃহবধূ জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ঘরভিটা ফেলে পালিয়ে এসে আমরা বাংলাদেশে প্রবাসী। এখানে পাহাড়ে বা পাহাড়ের পাদদেশে যেমন প্রবাসী, সেখানে ভাসানচরেও তাই। ওই রোহিঙ্গা নারী তাদের মাতৃ ভাষাতে জানায়, ‘এডে ছড় ছড় কামরাত্যুনারউ ভাইসানচর বওত গম বলে হুন্নি, হেতাল্যাই আঁরা হেড়ে যামরগইদে।’ অর্থাৎ উখিয়া টেকনাফে ঝুপড়িগুলোর ছোট ছোট কক্ষের চেয়ে ভাসানচরে প্রশস্থ কক্ষ বহুগুণে ভাল বলে শুনে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে চলে যাচ্ছি। উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত ক্যাম্পগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের (এক লাখ) প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তরের কাজে সফল হয়েছে সরকার। ভাসানচর বসবাস উপযোগী করে তোলা হয়েছে মর্মে বুঝানোর চেষ্টা করেও স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে ইতিপূর্বে রাজি করানো যায়নি রোহিঙ্গাদের। এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে রোহিঙ্গারা উখিয়া টেকনাফের ক্যাম্পগুলো ছেড়ে ভাসানচরে যেতে আগ্রহী ছিলনা।
×