ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১২ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা চেম্বারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

১২ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা চেম্বারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১২ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। মতিঝিলের ডিসিসিআই মিলনায়তনে শনিবার দেশের অর্থনীতিরি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনার কথা জানান ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। এ সময় অর্থনৈতিক পরিস্থির ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। করোনার মধ্যে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। সেই সঙ্গে এ খাতের বিকাশ অব্যাহত রাখতে আলাদা নীতিমালা তৈরির কথাও বলেন তিনি। ‘এসএমই খাতের বিকাশের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে ঋণ প্রাপ্তির জটিলতা। এ খাতের উদ্যোক্তারা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঠিক মতো ঋণ পাচ্ছেন না।’ এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিসিকের সাথে যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে এখাতে ঋণ নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন রিজওয়ান রাহমান। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঢাকা চেম্বার যে ১২ খাতকে গুরুত্ব দিতে বলেছে তার মধ্যে রয়েছে- রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, স্থানীয় বিনিয়োগ, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানো, কর ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়া তরান্বিত করা, মানব সম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির উৎকর্ষসাধন, এসডিজি অভীষ্ট লক্ষ্যসমূহ, ব্লু ইকনোমি, অবকাঠামো উন্নয়ন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী দ্রুত বাস্তবায়ন ও কুটির অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালীন সময়ে সরকার ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৫৪ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এসএমই খাতের অবদান ছিল ৩২ শতাংশ। করোনার প্রভাবে এটি কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের রপ্তানি আয়ের বড় অংশ এখনও তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হবে বাংলাদেশের। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। সেজন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া দরকার বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে। দক্ষ জনবল ও রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। সেই সঙ্গে রপ্তানি কর কমিয়ে আনার পরামর্শ দেন তিনি।
×