
স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের চার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সম্মতি থাকলেও ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন ও কেন্দ্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে মতবিরোধ কাটেনি। ফলে নতুন শিক্ষা বর্ষে চার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট) প্রথম সুপারিশ পেশ করলেও তার শর্ত নিয়ে প্রথম ধেকেই আপত্তি তোলে অন্য তিন প্রতিষ্ঠান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। মতবিরোধ কাটতে বুধবার চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইউজিসি। তবে সেই বৈঠকে আগামী শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে চার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন যুক্ত ছিলেন।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভায় ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন এবং বুয়েটের তিনজন অধ্যাপক যুক্ত ছিলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও মনোনীত প্রতিনিধিরা জানান, গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সবাই নীতিগতভাবে একমত। এ বিষয়ে তাদের একাডেমিক কাউন্সিলেরও সম্মতি রয়েছে। তবে ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন ও কেন্দ্র নিয়ে তাদের দ্বিমত রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িতপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর অন্য তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই তাদের সুস্পষ্ট মতামত ইউজিসি’র কাছে পাঠাবে। তার ওপর ভিত্তি করে প্রকৌশল গুচ্ছে ভর্তি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।