ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘যথা সময়ে যথা স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই হবে’

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

‘যথা সময়ে যথা স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই হবে’

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতার কারণ রাজনৈতিক। তাই এই মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই নগরীর ধোলাইপাড়ের নির্দিষ্ট স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন করতে হবে। এই দাবি করেছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদ। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের দাবিও জানিয়েছে তারা। সংগঠনটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্য স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেটা যথা সময়ে যথা স্থানে হবেই হবে। ধর্ম ব্যবসায়ীরা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য এর বিরোধিতা করছে। বৃহস্পতিবার নগরীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘এই বিজয়ের মাসেই স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য যাতে যথা স্থানে স্থাপিত হয় সেই দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি সোনার বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনেরও দাবি জানাচ্ছি। যে সমস্ত ষড়যন্ত্রকারী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করছে মূলত তারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধিতা করছে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করছে তারাই বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় ২০ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত সংগঠনের নেতৃত্বে থেকে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য উদ্বোধন করেছে। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের অসংখ্য ভাস্কর্য আছে। এখন মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘পৃথিবীর অসংখ্য দেশে তাদের জাতির পিতার ভাস্কর্য রয়েছে। তুরস্কে ইসলামি দল ক্ষমতায়। এরদোয়ান সাহেব নিজেই একজন কোরআনে হাফেজ। উনার নিজের ভাস্কর্যও রয়েছে। মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে অসংখ্যা ভাস্কর্য আছে। সেখানে তো কোনও কথা নেই। আসলে তারা বোঝে না ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়। আমাদের জানতে হবে, যারা বিরোধিতা করছে তাদের পূর্বসূরিদের পরিচয় কী।’ সভায় ১৮৯ সদস্য বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদের কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, যাত্রা বাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ, শ্যামপুন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×