ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাকজমকভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চায় বিএনপি

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ১ ডিসেম্বর ২০২০

জাকজমকভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চায় বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাকজমকভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চায় বিএনপি। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠঅনিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। বৈঠক সূত্রে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য শিঘ্রই বিস্তারিত দলীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে। তবে তা সফল করতে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এ বিষয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে কেন্দ্র থেকে একটি বার্তা পাঠানো হবে। তবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সফল করতে কে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারবে তা জানাতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে ড, খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল হলেও নানামুখী অপপ্রচারের মাধ্যমে বিএনপিকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে দেশের স্বাধীনতার জন্য বিএনপির অবদান কারো চেয়ে কম নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠঅতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। কিন্তু ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে এবং অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ততে অপপ্রচার মোকাবেলায় বিভিন্ন তথ্যসম্বলিত প্রকাশনা প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে বিএনপি ২১ নবেম্বর দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি দলীয় জাতীয় কমিটি গঠন করে। এরপর ২৬ নবেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিএনপির স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটিতে নতুন করে আরও ২৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ২৩ জনের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা জয়নাল আবেদিন, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, ক্যাপ্টেন (অব.) সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাদা মিয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহিদুর রহমান, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজউদ্দীন নসু, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ক্রিড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পদক সরাফত আলী সফু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুন, শাহীন শওকত, আবদুল খালেক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বেবী নাজনীন, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ-তাতীবিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া সিরাজ, সহ-ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন, সহ-ধর্মবষয়ক সম্পাদক দিপেন দেওয়ান, উপজাতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক কর্ণেল (অবঃ) মনিষ দেওয়ান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক।
×