ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গোল্ডেন মনির হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন যেভাবে-

প্রকাশিত: ২২:১৫, ২৩ নভেম্বর ২০২০

গোল্ডেন মনির হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন যেভাবে-

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চোরাচালান, মাদক, অবৈধ অস্ত্র বাণিজ্য, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমেই বিস্ময়কর উত্থান ঘটে গোল্ডেন মনিরের। চোরে চোরে মাসতুত ভাই বলতে যা বোঝায় মনির তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। গ্রেফতারের পর র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে- মনির কিভাবে, কখন, কার সহযোগিতায় এত দ্রুত সময়ে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সে কাহিনী ফাঁস করেছেন। তার অপর তিন সহযোগী সম্পর্কেও তথ্য অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক, বিআরটিএ, র‌্যাব ও পুলিশ। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ২শ’ প্লট হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছে রাজউক। এসব অভিযোগে দায়েরকৃত পৃথক মামলায় গোল্ডেন মনিরকে ১৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গত পরশু অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের বাসা থেকে গ্রেফতারের পর মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব-৩ ব্যাটালিয়ন। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। পৃথক তিন মামলায় মোঃ মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করে। রবিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক তিন মামলায় তাকে সাতদিন করে ২১ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক অস্ত্র মামলায় ৭ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে বিচারক বলেন, দুই মামলার রিমান্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান মাদক মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জানা গেছে, মনিরের সঙ্গে একই কায়দায় চোরাচালানে অপর তিন সহযোগী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখছে র‌্যাব। এজন্য প্রাথমিকভাবে উত্তরায় বহুল আলোচিত জমজম টাওয়ার সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু র‌্যাব সেখানে গিয়ে তেমন কিছু পায়নি। তবে মনিরের অপর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযাগ অনুসন্ধান করছে র‌্যাব। এসব অভিযোগ সম্পর্কে জমজম টাওয়ারের অন্যতম অংশীদার ও উত্তরখানের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম সফিক গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন -গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে তার কোন ব্যবসা বা অন্য কোন লেনদেনের সম্পর্ক আগেও ছিল না এখনও নেই। শুধু চার বন্ধু মিলে রাজউক থেকে ৫ কাঠা করে বিশ কাঠা জমি বরাদ্দ নিয়ে ডেভেলপারের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে জমজম টাওয়ার নির্মাণ করেছেন। এর বাইরে অন্যকোন সম্পর্ক নেই। মনিরের গ্রেফতারের সঙ্গে জমজম টাওয়ার নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।
×