ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রায়হান হত্যার ঘটনায় আরেক পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৩০ অক্টোবর ২০২০

রায়হান হত্যার ঘটনায় আরেক পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান মৃত্যুর ঘটনায় আরও একজন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় ৩ জন পুলিশ সদস্যসহ ৪ জনকে আটক দেখানো হলো। এই ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছেন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফাঁড়ির এসআই আকবরকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। ফাঁড়ি থেকে আকবরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতাকারী বন্দরবাজার ফাঁড়ির টুআইসি বরখাস্ত হওয়া এসআই হাসান উদ্দিনকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার পর আকবর পালিয়ে যাবার সময় এসআই হাসানকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে যায়। অবস্থাদৃষ্টে এটাই প্রতীয়মান হয় পরিস্থিতি বেসামাল ভেবে আকবর ঠা-া মাথায় গা ঢাকা দেয়। আকবর পালিয়ে যাবার বিষয়টি যথাসময়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করনেনি হাসান। আর যদি করে থাকেন তবে এই অবহেলার দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। আকবরের পালিয়ে যাবার দায় এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। সিলেটে নতুন যোগদানকারী পুলিশ কমিশনারও বলেছেন এসআই আকবরকে কেউ যদি মদদ দিয়ে থাকে সবাইকে শনাক্ত করা হবে। সম্পৃক্ততা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারাও মামলার আসামি হবেন। পলাতক এসআই আকবর প্রসঙ্গে নবাগত কমিশনার বলেন, পলাতক এসআই আকবরকে গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল ইউনিট কাজ করছে। বৃহস্পতিবার রায়হন আহমদ হত্যা মামলায় বরখাস্তকৃত দুই পুলিশ সদস্যকে ৫ ও ৩ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর মধ্যে এ.এস.আই আশেকে এলাহীকে প্রথমবারের মতো ৫ দিন ও কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে দ্বিতীয় দফা ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিবিআই’র আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক মোঃ জিয়াদুর রহমান। এর আগে গত বুধবার রাতে এএসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আশেকে এলাহীকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তাকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। শুনানিকালে রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মাহিদুল ইসলাম আশেকে এলাহিকে ৭ দিনের আবেদন করলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে, রায়হান হত্যা মামলার আরেক অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্তকৃত) হারুনুর রশীদকে দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। প্রথম দফার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় তাকে। পরে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মাহিদুল ইসলামের ৫ দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মোঃ জিয়াদুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে প্রথম দফা ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছিলেন আদালত। ওই দিন সকালে হারুনুর রশীদকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানি শেষে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ.এস.আই আশেকে এলাহিকে ৫ দিনের এবং কনেস্টবল হারুনুর রশীদকে দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আদালতে জবানবন্দী দিতে রাজি না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় হারুন রশীদকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। রিমান্ড চলাকালে তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদঘাটন করা হবে। বিকেল ৩টায় কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের আদালতে হাজির করে পিবিআই।
×