ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মশক নিধনে চিরুনি অভিযান শুরু করছে ডিএনসিসি

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২৯ অক্টোবর ২০২০

মশক নিধনে চিরুনি অভিযান শুরু করছে ডিএনসিসি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আগামী সোমবার থেকে ১০ দিনের বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যে চিরুনি অভিযান শুরু হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার ডিএনসিসি’র মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনলাইনে জরুরি এক সভায় অভিযানের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মেয়র আতিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সভায় বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নগরবাসীকে মশা থেকে সুরক্ষা দিতে আগামী ২ নবেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দশ দিনব্যাপী বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করবে ডিএনসিসি। চিরুনি অভিযানের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে। সভায় ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী রয়েছে, সেসব হাসপাতালের আশেপাশে নিবিড়ভাবে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী থেকে এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমণ যাতে না ঘটে সে দিকেও নজর রাখতে বলেন তিনি। এছাড়া হাসপাতালে অবস্থানরত ডেঙ্গু রোগীদের ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বাসার আশেপাশে মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করার নির্দেশ দেন মেয়র। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো মূল্যে নগরবাসীকে মশা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। এজন্য আমরা চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক আমদানি করেছি। এরইমধ্যে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে এবং আরো আনা হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসির নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদনগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট রয়েছে জানিয়েছেন মেয়র। সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী এ মুহূর্তে ডিএনসিসি এলাকায় ১২ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। ডিএনসিসি এলাকার পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে এসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এরইমধ্যে এই ১২ রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বাসার আশেপাশে মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কারা মহাপরিদর্শক ও ডিএনসিসির সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা সারোয়ার, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।
×