ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ

বিশাল জয়ে ফাইনালের পথে নাজমুল একাদশ

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১৮ অক্টোবর ২০২০

বিশাল জয়ে ফাইনালের পথে নাজমুল একাদশ

মোঃ মামুন রশীদ ॥ একইদিনে দুই ধরনের ব্যাটিং পারফর্মেন্স। একটা দল বড় একটি সংগ্রহ গড়ল, জবাব দিতে নেমে প্রতিপক্ষরা বিপর্যয়ে ধসে পড়ল। এটা অবশ্য মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায়ই দেখা যায়। শনিবার ভাগ্যবান দল হিসেবে নাজমুল একাদশ আগে ব্যাটিং করেছে, আর দুর্ভাগ্য মাহমুদুল্লাহ একাদশের। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের চতুর্থ ম্যাচে ১৩১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। আগে ব্যাট করে আফিফ হোসেনের ৯৮ রানের দারুণ ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান তোলে নাজমুল একাদশ। জবাবে মাত্র ৩২.১ ওভারে ১৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ একাদশের ইনিংস। এর ফলে ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা নাজমুল একাদশ ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল। আর সমান ম্যাচে দ্বিতীয় হারে ফাইনালে ওঠার রাস্তাটা কঠিন হয়ে গেল ২ পয়েন্ট অর্জন করা মাহমুদুল্লাহ একাদশের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে নাজমুল একাদশ। আগের ৩টি ম্যাচের মতোই এদিনও পেস বোলারদের দাপটে শুরুতে ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারায় তারা। অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন দুর্দান্ত বোলিং করেন। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পারভেজ হোসেন ইমন ১৯ রান করলেও আগের মতোই ব্যর্থ সৌম্য সরকার ৮ ও অধিনায়ক নাজমুল ৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান। তবে চতুর্থ উইকেটে জোড়া অর্ধশতকে ১৪৭ রানের বিশাল জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ। ১ রানে সুমন খানের বলে ক্যাচ দিয়েও মেহেদী হাসান মিরাজ তা হাতছাড়া করলে মুশফিক ধীরলয়ে ব্যাটিং করেন। ব্যর্থতা কাটিয়ে আফিফ সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যেতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১০৮ বলে ১২ চার, ১ ছয়ে ৯৮ করে রানআউট হয়ে গেলে শতক বঞ্চিত হন। এরপরই মুশফিক ৯২ বলে মাত্র ১ চারে ৫২ রানে আউট হয়ে যান। পরবর্তীতে ইরফান শুক্কুর ৩১ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৮ ও তৌহিদ হৃদয়ের ২৯ বলে ২৭ রান করেন। ফলে চলতি আসরে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৪ রানের ইনিংস পায় নাজমুল একাদশ। ৩ উইকেট নেন রুবেল। জবাব দিতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি মাহমুুদুল্লাহ একাদশ, বড় কোন জুটি গড়ে ওঠেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ব্যর্থতা কাটিয়ে ওপেনার লিটন দাস ভালই করছিলেন, কিন্তু তিনিও ২৭ বলে ৫ চারে ২৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পরবর্তীতে উল্লেখযোগ্য রান এসেছে শুধু নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে। তিনি ৩৬ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৭ ওভার ৫ বল বাকি থাকতেই মাহমুদুল্লাহ একাদশের ইনিংস থামে ১৩৩ রানে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা টেস্ট দলের অপরিহার্য পেসার আবু জায়েদ রাহী ৩টি এবং প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৮.১ ওভারে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচসেরা ও সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন আফিফ, সেরা বোলার হয়েছেন ২৬ রানে ২ উইকেট নেয়া লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ও সেরা ফিল্ডার নাজমুল শান্ত। সংক্ষিপ্ত স্কোর ॥ নাজমুল একাদশ ইনিংস- ২৬৪/৮; ৫০ ওভার (আফিফ ৯৮, মুশফিক ৫২, শুক্কুর ৪৮*, হৃদয় ২৭; রুবেল ৩/৫৩, এবাদত ২/৬০)। মাহমুদুল্লাহ একাদশ ইনিংস- ১৩৩/১০; ৩২.১ ওভার (লিটন ২৭, সোহান ২৭*; নাসুম ৩/২৩, রাহী ৩/৩৪, রিশাদ ২/২৬)। ফল ॥ নাজমুল একাদশ ১৩১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ আফিফ হোসেন ধ্রুব (নাজমুল একাদশ)।
×