ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহারে বিকল্প সড়ক অপসারণ হয়নি ॥ পচে যাচ্ছে ফসল

প্রকাশিত: ২০:২৭, ১৭ অক্টোবর ২০২০

সান্তাহারে বিকল্প সড়ক অপসারণ হয়নি ॥ পচে যাচ্ছে ফসল

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ১৬ অক্টোবর ॥ নাটোর-নওগাঁ বাইপাস সড়কের সান্তাহারের মালশন গ্রামের খিড়কিতলায় নির্মিত নতুন সেতু মুখের বিকল্প সড়ক বাঁধ হয়ে গেছে কৃষকের গলার ফাঁস। ২/৪ দিনের মধ্যে অপসারণ করার অঙ্গীকার করার পর প্রায় এক মাসেও সওজ কর্তৃপক্ষ জনগুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেনি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী থাকায় পচে যাচ্ছে দিগন্তজোড়া মাঠের বহু জমির আমন ধানের গাছ। এতে করে কয়েক গ্রামের কৃষকগণ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত একটি খবর দৈনিক জনকণ্ঠের ২১ সেপ্টেম্বর ফলাও করে ছাপা হয়। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি সওজ কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি ও নওগাঁ সদর উপজেলার কয়েক গ্রামের দিগন্তজোড়া মাঠ মালশন-শিমুলিয়া। এই মাঠের পানি সহজে নিষ্কাশনের জন্য ওই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের সময় ঠিকাদার ব্রিজমুখে বিকল্প সড়ক তৈরি করে। প্রায় এক বছর পূর্বে ব্রিজ নির্মাণ শেষ হয়েছে। কিন্তু বিকল্প সড়ক অপসারণ করেননি। ফলে ব্রিজ করা না করা সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ধান গাছের গলা পর্যন্ত পানি জমে থাকায় পানিবাহিত রোগে জমির ধান গাছে পচন ধরেছে। ওই বিকল্প সড়ক অপসারণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কালাম শাহ্ নামে সেখানকার এক জমির মালিক। একই সঙ্গে সান্তাহার ইউনিয়নের প্রান্নাথপুর পর্যন্ত পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে আরও ৫ সেতু। কাজ শেষে নির্মিত ওই ৫ ব্রিজের মুখ থেকে বিকল্প সড়ক অপসারণ করা হলেও ছোট মালশন সেতুর বিকল্প সড়ক অপসারণ করা হয়নি। মালশন, তারাপুর, কাজিপুর, কাশিপুর, শিমুলিয়া, দোগাছি, পিরোজপুর, ছাতনিসহ কয়েক গ্রামের কৃষকগণ অভিযোগ করে বলেন, সেতু সংলগ্ন জমির মালিক কালাম শাহ’র সঙ্গে যোগসাজশ করে বিকল্প সেতু অপসারণ না করে চলে যায় সওজ নিয়োজিত ঠিকাদার। এ ব্যাপারে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে গত ২০ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন, ২/৪ দিনের মধ্যে বিকল্প সড়কটি অপসারণ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু অদ্যাবধি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ভুক্তভোগী কৃষকদের প্রশ্ন আর কত মাসে শেষ হবে ২/৪ দিন?
×