ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব খাদ্য দিবসে ট্রান্সফ্যাট নিয়ে উদ্বেগ প্রজ্ঞার

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ১৬ অক্টোবর ২০২০

বিশ্ব খাদ্য দিবসে ট্রান্সফ্যাট নিয়ে উদ্বেগ প্রজ্ঞার

অনলাইন ডেস্ক ॥ ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাটে হৃদরোগ ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ(বিএফএসএ) অতি সম্প্রতি সব ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিলেও ট্রান্সফ্যাটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো আইন বা নীতি হয়নি। প্রজ্ঞার ট্রান্সফ্যাট প্রজেক্টের টিম লিডার মো. হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। পিএইচও বা ডালডা সাধারণত ভাজাপোড়া স্ন্যাক্স ও বেকারিপণ্য তৈরি এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়ক সংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ঢাকার পিএইচও নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত শতকরা ২ ভাগের চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) পেয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এ দিবস উপলক্ষে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে বাংলাদেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট।। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সীমা নির্ধারণ করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করা দরকার।” আর এজন্য অবিলম্বে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী সব ধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
×