ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বঙ্গবন্ধুর ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মনিরপেক্ষতা

প্রকাশিত: ২১:০৬, ৬ অক্টোবর ২০২০

বঙ্গবন্ধুর ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মনিরপেক্ষতা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসাম্প্রদায়িক চরিত্র’ সকল সংশয়, বিতর্ক ও প্রশ্নের উর্ধে। যদিওবা ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনীতি শুরু করেছিলেন প্রথমত মুসলিম ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে মুসলিম লীগে যোগদানের মাধ্যমে। ’৪৭-এ দেশ ভাগের পূর্বে কলকাতায় হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে বঙ্গবন্ধু তাঁর অন্যান্য রাজনৈতিক সহকর্মীকে নিয়ে দাঙ্গা প্রতিরোধ ও আক্রান্ত মানুষদের রক্ষা, সাহায্য ও পুনর্বাসনে কিভাবে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন, তার বিবরণ তিনি তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে (পৃঃ ৬৩-৭১) বিশদভাবে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে ’৫৪-এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিশাল বিজয়ের পরে যেদিন তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন, সেদিনই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর ইন্ধনে আদমজীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো হলে বঙ্গবন্ধু সেখানেও ছুটে গিয়েছিলেন দাঙ্গা প্রতিরোধে। ৬০/৭০ দশকে বিভিন্ন সময়ে পুরনো ঢাকায় বারবার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করা হলে বঙ্গবন্ধু সব সময় দাঙ্গা আক্রান্ত এলাকায় উপস্থিত হয়ে মানুষের জান-মাল রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। আর এসব করতে গিয়ে তিনি দাঙ্গাকারীদের দ্বারা আক্রান্তও হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কে গ্রহণ করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করায় ধর্মব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যারা বাঙালীর ভাষা, সংস্কৃতি, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে ইসলাম ধর্মকে ‘বর্ম’ হিসেবে ব্যবহার করে বাধাগ্রস্ত করার হীন অপচেষ্টা চালিয়েছিল তাদের অব্যাহত প্রচার ছিল- ধর্মনিরপেক্ষতার নামে শেখ মুজিব বাংলাদেশকে একটি ইসলাম ধর্মহীন হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে, শেখ মুজিব ভারত ও হিন্দুদের এজেন্ট, বাংলাদেশের মসজিদগুলো বন্ধসহ আযান দেয়া বন্ধের পাঁয়তারা করছে। বাস্তব সত্য এটাও যে, ধর্মান্ধগোষ্ঠীর প্রচারের কারণে সৌদি আরবসহ কিছু মুসলিম দেশ বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া থেকে বিরত ছিল। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু যেমন অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন ও চর্চা করতেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন তেমনি ইসলাম ধর্মে এবং মহান আল্লাহর ওপর তাঁর ছিল অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। আবার ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান ছিল অত্যন্ত শক্ত ও দৃঢ়। ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন, ‘জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের প্রিয় ধর্ম হলো ইসলাম। আওয়ামী লীগ এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শাসনতন্ত্রে সুস্পষ্ট গ্যারান্টি থাকবে যে পবিত্র কোরান ও সুন্নায় সন্নিবেশিত ইসলামের নির্দেশাবলীর পরিপন্থী কোন আইন বাংলাদেশে প্রণয়ন বা বলবৎ করা চলবে না। শাসনতন্ত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পবিত্রতা রক্ষার গ্যারান্টি সন্নিবেশিত হবে। সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, যেমন ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, তবলিগ জামাতের জন্য জায়গা প্রদান, মদ-জুয়া, ঘোড়দৌড় বন্ধ, ইসলামী সম্মেলন সংস্থার কর্মকা-ে অংশ গ্রহণই প্রমাণ করে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান বাঙালীর ধর্মীয় বিশ^াস ও মূল্যবোধের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধু ধর্মবিশ্বাস থেকে তিনি তাঁর বক্তব্য-বিবৃতিতে প্রায়শই ‘ইন্্শা আল্লাহ্্’ শব্দটি ব্যবহার করতেন- আল্লাহ্কে স্মরণ করতেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তাঁর বজ্রকঠিন ঘোষণা ছিল- ‘এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। ইন্্শা আল্লাহ্্’! ২৮ অক্টোবর ’৭০ সালে পাকিস্তান টেলিভিশন ও রেডিও পাকিস্তান কর্তৃক আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সম্প্রচার’ শীর্ষক বক্তৃতামালায় বঙ্গবন্ধু বক্তব্য শেষ করেন এভাবে- ‘আওয়ামী লীগ দেশবাসীর যে সমর্থন ও আস্থার অধিকারী হয়েছে, তাতে আমরা বিশ^াস করি যে, ইন্্শা আল্লাহ্্ আমরা সাফল্যের সাথে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।’ ’৭০-এর নির্বাচনের পূর্বে ১ ডিসেম্বর এক নির্বাচনী আবেদনে বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেন, ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ন্যায় ও সত্যের সংগ্রামে নিশ্চয়ই আল্লাহ্্ আমাদের সহায় হবেন।’ ২৬ মার্চ ’৭২ আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন বাংলার স্বাধীনতা হরণ করার শক্তি তাদের নাই। ইন্্শা আল্লাহ্্ আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।’ ৯ মে ’৭২ রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। ইন্্শা আল্লাহ্্ আবার দেখা হবে। আপনারা কাজ করুন। আপনারা প্রতিজ্ঞা করুন, আমার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।’ ১০ মে ’৭২ পাবনার জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘মানুষকে সাহায্য করতে হবে। বিজয় নিশ্চিত বন্ধুরা। আবার দেখা হবে ইন্্শা আল্লাহ্’! ৭ জুন ’৭২ সোহ্্রাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘শ্রমিক ভাইয়েরা, আল্লাহর ওয়াস্তে একটু উৎপাদন করো। আল্লাহর ওয়াস্তে মিল খেয়ে ফেলো না। আমি এবার তাহলে চলি। খোদা হাফেজ।’ ৩ জুলাই ’৭২ কুষ্টিয়ার জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ইন্্শা আল্লাহ্্! যদি আপনারা ৩ বছর কঠোর পরিশ্রম করেন, তাহলে বাংলার মানুষ আশা করি পেট ভরে ভাত খাবে। ....’ যে সমস্ত লোক, আমার ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে এই যুদ্ধে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আপনারা মোনাজাত করেন আমার সঙ্গে। আল্লাহু আকবার। ৪ জুলাই ’৭২ কুমিল্লার জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আর সে সমস্ত ভাই, যে সমস্ত বোন, যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আমার সঙ্গে মোনাজাত করুন। আল্লাহুম্মা আমিন . . .! বহুক্ষণ আপনারা কষ্ট করেছেন। ইন্শা আল্লাহ্্। বেঁচে থাকলে আপনাদের সঙ্গে আবার দেখা হবে। দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন ঈমানের সঙ্গে রাখে, আর আপনাদের ভালবাসা নিয়ে আমি মরতে পারি।’ ’৭২ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘তবুও যাদের দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি এবং আল্লাহ্্ যেন তৌফিক দেয় তাদের সঙ্গে যেন আমি মরতে পারি। তাদের পাশে পাশেই থাকতে পারি এবং তাদের ভালবাসা নিয়ে আমি মরতে পারি।’ ৩ জানুয়ারি বরগুনার জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘জীবনে যা কোন মানুষ পায় না, তা আমি পেয়েছি। সে হলো আপনাদের ভালবাসা। এই ভালবাসা নিয়েই আল্লাহর কাছে আপনারা আমাকে দোয়া করবেন, আপনাদের এই ভালবাসা নিয়ে আমি যেন মরতে পারি।’ ১২ ফেব্রুয়ারি ’৭৩ টাঙ্গাইলের নির্বাচনী জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘তবে একটা কথা হলো এই- আপনারা আমাকে দোয়া করেন। আল্লাহ্্ যেন আমাকে ঈমানের সঙ্গে রাখেন।’ ১০ ডিসেম্বর ’৭৪ চট্টগ্রামে নৌবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ইন্শা আল্লাহ! আমাদের সম্পদের যথাযোগ্য ব্যবহার করে সোনার বাংলা গড়ে তোলা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে। . . . . . . ইন্শা আল্লাহ্্! বাংলার সম্পদ এখন থেকে বাংলারই থাকবে। জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর ’৭৪ প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমরা যদি বাংলার সম্পদ বাংলার মাটিতে রাখতে পারি, সমাজতান্ত্রিক বিলি-বণ্টন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে পারি এবং সকলে মিলে কঠোর পরিশ্রম করে কল-কারখানায়, ক্ষেতে-ময়দানে উৎপাদন বাড়াতে পারি; তবে ইনশা আল্লাহ আমাদের ভাবি বংশধরদের শোষণমুক্ত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী এক ভবিষ্যত আমরা উপহার দিতে পারব।’ ২৫ জানুয়ারি ’৭৫ জাতীয় সংসদে বাকশালের নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন- ‘তাই, আল্লাহর নামে, চলুন, আমরা অগ্রসর হই। ‘বিস্মিল্লাহ’ বলে আল্লাহর নামে অগ্রসর হই। ইন্শা আল্লাহ্ আমরা কামিয়াব হবই। খোদা আমাদের সহায় আছেন! . . . . . যদি সকলে মিলে আপনারা নতুন প্রাণে নতুন মন নিয়ে খোদাকে হাজিরনাজির করে, নিজের আত্মসংশোধন করে, আত্মশুদ্ধি করে, ‘ইন্শা আল্লাহ্্’ বলে কাজে অগ্রসর হন, তাহলে জানবেন, বাংলার জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। বাংলার জনগণ আপনাদের পাশে আছে, জনগণকে আপনারা যা বলবেন, তারা তাই করবে। আপনাদের অগ্রসর হতে হবে। ইন্শা আল্লাহ্! আমরা কামিয়াব হবই।’ ৮ মার্চ ’৭৫ টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মাওয়ালা মোহাম্মদ আলী কলেজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘তবু আসছি, কারণ বহুদিন আপনাদের সঙ্গে দেখা হয় না। আপনারা আমাকে দোয়া করেন, আল্লাহ যেন ভাল রাখে।’ বঙ্গবন্ধু নিজের ধর্ম পালন সম্পর্কে লিখেছেন-‘আমি তখন নামাজ পড়তাম এবং কোরআন তেলাওয়াত করতাম রোজ। কোরআন শরীফের বাংলা তরজমাও কয়েক খ- ছিল আমার কাছে। ঢাকা জেলে শামসুল হক সাহেবের কাছ থেকে নিয়ে মাওলানা মোহাম্মদ আলীর ইংরেজী তরজমাও পড়েছি (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃঃ-১৮০)। ৪ নবেম্বর ’৭২ গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধু প্রস্তাব করেন, অধিবেশনের সব কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বে যেন মাওলানা তর্কবাগীশ সাহেব মোনাজাত করেন। মাননীয় স্পীকার তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করে মোনাজাতের মাধ্যমে সেদিন অধিবেশন শেষ করেন। রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার হীন প্রচেষ্টা এবং ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রচারের জবাবে বঙ্গবন্ধু ২৮ অক্টোবর ’৭০ রেডিও থেকে প্রচারিত বক্তৃতায় বলেছিলেন- ‘৬ দফা বা আমাদের অর্থনৈতিক কর্মসূচী ইসলামকে বিপন্ন করে তুলেছে বলে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, সেই মিথ্যা প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য আমি শেষবারের মতো আহ্বান জানাচ্ছি। অঞ্চলে অঞ্চলে এবং মানুষে মানুষে সুবিচারের নিশ্চয়তা প্রত্যাশী কোন কিছুই ইসলামের পরিপন্থী হতে পারে না। আমরা এই শাসনতান্ত্রিক নীতির প্রতি অবিচল ওয়াদাবদ্ধ যে, কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশিত ইসলামে নীতির পরিপন্থী কোন আইনই এ দেশে পাস হতে পারে না, চাপিয়ে দেয়া হবে না।’ ’৭০-এ সাধারণ নির্বাচনের আগে বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেছিলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য- ‘লেবেলসর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ^াসী ইন্্সাফের ইসলামে, যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের প্রবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বরাবর যাঁরা অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ, বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফেকদেরই বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাসের কথা ভাবতে পারেন, কেবল তারাই ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফায়সা করে তোলার কাজে’। (চলবে...) লেখক : বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ এবং সাবেক চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১, বাংলাদেশ
×