ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাচ্যের সঙ্গে সংযোগের আদর্শ স্থান হতে পারে দেশ

প্রকাশিত: ২২:৪১, ২ অক্টোবর ২০২০

প্রাচ্যের সঙ্গে সংযোগের আদর্শ স্থান হতে পারে দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভৌগোলিক দিক থেকে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকে কাজে লাগানো গেলে প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের যে সংযোগটা বাংলাদেশ তার জন্য সব থেকে আদর্শ জায়গা হতে পারে, যদি আমরা সেইভাবে উন্নত করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমিয়ে মাটির উপরের পানি ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষকে সুপেয় পানি দেয়া। কিন্তু আমাদের ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সেচের পানি বা ব্যবহারের পানির জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে আমরা যেন ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার করতে পারি, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান পরিবহন চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধনকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপে সুইজারল্যান্ডের যে অবস্থান, ইউরোপের একদিক থেকে আরেকদিক যেতে হলে সুইজারল্যান্ডের ভেতর দিয়েই যেতে হয়। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থানটা হচ্ছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল এয়াররুটের ভেতরে আছি। সেখানে আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনাটাকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমাদের একদিকে পর্যটন শিল্প, অপরদিকে আমাদের এয়ারলাইন্স আমাদের অনেক টাকা উপার্জন করে দিতে পারি। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর গ্রীনরোডে নবনির্মিত পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মুখে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ম্যুরাল’ এবং বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় ‘পর্যটন ভবন’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে যেন পানির সমস্যা না হয়, সেজন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি আইন করার কথাও অনুষ্ঠানে বলেন তিনি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানের নিরাপত্তা এবং সেবা বৃদ্ধিতে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী যথাযথভাবে আইনগুলো প্রণয়ন করে সেই আইনও আমরা পাস করে দিয়েছি। যাতে আমাদের বিমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারি। আর অন্য দেশ থেকেও বিমান আসতে পারে। সেদিকেও আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি। স্বাধীনতার জাতির পিতা বিমানের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে যারা এসেছেন, একখানা বিমান কিনে কয় টাকা তারা পকেটে ভরবেন, কত কমিশন খাবেন- সেটাই ছিল তাদের মাথায়। ওই সময়ে বিমানের নাজুক অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের আগেও আপনারা যারা বিমানে চড়েছেন, একবার চিন্তা করেন, সেখানে কী দুরবস্থাটা ছিল। বিমানে চড়লে কোন রকমের এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থা ছিল না। আমি তো বেশিরভাগই নিজেদের দেশের বিমানে চলাচল করতাম। কিছুদূর যাওয়ার পর পানি পড়ত ওপর থেকে, সেখানে তোয়ালে, টিস্যু দিয়ে পানি আটকানো, এমন একটা অবস্থা ছিল বিমানের। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমানের সেবার মানের উন্নয়ন, নতুন বিমান কেনা, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি এবং বিমানবন্দরগুলো আধুনিকায়নে নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ হবে, দেশের অর্থনীতি তত গতিশীল পাবে, উন্নত হবে। মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। তিনি বলেন, বিমানের জেট ফুয়েল যাতে পাইপলাইনের মাধ্যমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়, সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে সরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিমান যেন যেতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের এয়ারলাইন্সকে কারণ আজকে দেখলাম যে, আমেরিকার সঙ্গে একটা চুক্তি হয়েছে, যেখানে আমাদের বিমান যেতে পারবে। বাংলাদেশ বিমানের আধুনিকায়নে তিনি আমেরিকার বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এ পর্যন্ত অত্যাধুনিক ১৩টি বিমান আমাদের বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে। আমরা যখন বোয়িং বিমানগুলো কিনি তখন থেকেই এটা একটা প্রচেষ্টা ছিল যাতে আমেরিকায় আমাদের বিমান নিতে পারি। কারণ সেখানে আমাদের অনেক বাঙালী বসবাস করে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে বাঙালীরা থাকে (বসবাস করে) সেখানে ঢাকা থেকে সরাসরি যেন আমাদের বিমান পাঠাতে পারি। ঢাকা থেকে টরেন্টো, নিউইয়র্ক ও টোকিওসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতে আমরা যেতে পারি সেজন্য কিছু বিমানও আমরা ক্রয় করে ফেলেছি। কাজেই সকলের সঙ্গে একটা সমঝোতা করে এই শিল্পটাকে আমাদের আরও উন্নত করতে হবে এবং এই যোগাযোগটাকেও বাড়াতে হবে সেজন্যই আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটনের ‘বিশাল সম্ভাবনার’ কথা তুলে ধরে এর উন্নয়নে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমবার ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীনই তার সরকার চট্টগ্রামে বিমানবন্দর তৈরি করে সেটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে। সেইসঙ্গে সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করাসহ ঢাকার বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ থেকে শুরু করে কার পার্কিং নির্মাণ করে। কারণ ’৯৬ সালে বিমানবন্দরে কোন বোর্ডিং ব্রিজ না থাকায় সেসময় বিমানে হেঁটে গিয়ে চড়তে হতো। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিমান এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের প্রসঙ্গে টেনে বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার এবং সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আরও উন্নত করার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যাতে নেপাল, ভুটান এবং ভারতসহ পাশর্^বর্তী দেশগুলো ব্যবহার করতে পারে এবং পর্যটনের একটা বিশাল সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়। একইসঙ্গে বরিশাল এবং বাগেরহাটের খানজাহান আলী বিমানবন্দরসহ অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানবন্দরগুলোও নতুন করে চালু করা হয়েছে। এভাবেই নৌপথ, সড়কপথ, রেলপথ এবং আকাশ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে তার সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ হবে তত দেশের অর্থনীতি গতিশীলতা পাবে, উন্নত হবে। পাশাপাশি মানুষের যাতায়াত ও সহজ হবে। নতুন নতুন রেলপথ সৃষ্টি এবং সংস্কার এবং রেলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও রেলপথের উন্নয়নের মাধ্যমেও দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করছে তাঁর সরকার। জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন জলাধার সৃষ্টি এবং বিদ্যমান জলাধারগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে পানির জন্য এক সময় হাহাকার ছিল, সেই হাহাকারটা যেন বন্ধ হয়। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে যত খাল, বিল, হাওড়, পুকুর, নদী যা আছে সবগুলোতে যাতে নাব্য থাকে- সেগুলো খনন করে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাতে দুটি কাজ হবে। একটা হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে, আবার মৎস্য উৎপাদন বাড়বে। মানুষের চহিদাটাও আমরা পূরণ করতে পারব। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়ে সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা সব সময় বিশ্বাস করি যে গবেষণা ছাড়া কোন কাজেই উৎকর্ষতা সম্ভব না। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেখেছিলাম আমাদের গবেষণায় কোন বিশেষ বরাদ্দই রাখা হতো না, সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ ছিল না এবং কোন রকম প্রণোদনা দেয়া হতো না।’ সেই অবস্থা থেকে এখন দেশের প্রতিটি নদীতে ড্রেজিং করার পদক্ষেপ নেয়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের যেখানে স্থাপনা নির্মাণ করা হোক না কেন সেখানে যেন অন্তত বৃষ্টির পানি যাতে সংরক্ষণ করা যায় সেজন্য যেন জলাধার থাকে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী স্থাপনা তৈরি হলে আমাদের পরিবেশটাও যেমন সুন্দর থাকবে, তেমনি ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর যেটি কমে গেছে, সেটিও আর কমে যাবে না। দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি গণস্বাস্থ্যের জন্যও উপযোগী হবে। তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিল বলেই আজকে করোনার মধ্যেও তার সরকার গতিশীল রয়েছে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে এবং সেগুলো জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারছে- এমন অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী নির্মিত এবং নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। তিনি নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে এবং যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্যও এ সময় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এরপর থেকে দেশে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল’ জারি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনা শাসন জারি হয়। আর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হয়ে যায়, তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে যত বেশি দৃষ্টি দেয়, দেশের মানুষের উন্নয়নের দিকে তত দৃষ্টি দেয় না। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা যে ফসল লাগিয়ে গিয়েছিলেন, যে গাছ লাগিয়ে গিয়েছিলেন, সেই ফসলই তারা (হত্যাকারীরা) ভোগ করেছে। কিন্তু এরপর বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। বাংলাদেশের অনেক সমস্যা ছিল, সেগুলো কখরও সমাধান হয়নি।’ অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর পানি ভবন মিলনায়তন প্রান্ত থেকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ মহিবুল হকসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবুল মোমেন এমপি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
×