ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তায় অকাল বন্যায় বাড়িঘরে পানি ঢুকছে

প্রকাশিত: ২১:১৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

তিস্তায় অকাল বন্যায় বাড়িঘরে পানি ঢুকছে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বর্ষা শেষে আশ্বিনের অকাল বন্যা দেখা দিয়েছে তিস্তা নদীতে। অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে একই পয়েন্টে সকাল ৬টা থেকে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার অকাল বন্যায় জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১৫টি চর ও নদীর তীরবর্তী গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এক দিকে উজানের ঢল, অন্যদিকে অবিরাম বর্ষণে ওই সকল এলাকার মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে উজানের ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পানি পরিমাপক) সহকারী প্রকৌশলী এএসএম আমিনুর রশিদ। তিনি বলেন, গত বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চলও তলিয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, ৪র্থ দফা বন্যার পানি কমতে না কমতেই টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আবারও কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃষ্টি পেতে শুরু করেছে। সেতু পেয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি প্রবেশ করছে নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলগুলোতে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার আমনসহ বিভিন্ন ফসলের খেত। এ বছর ৫ম দফায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন। বগুড়া স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে বগুড়ায় নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। খাল ও নদী সংলগ্ন নিচু এলাকায় পানি ওঠায় বহুস্থানে আমনের খেত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে আবার অনেক জায়গায় খেতের পর খেত পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। এতে ওইসব স্থানে চলতি মৌসুমে আমনের আবাদ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তবে কৃষি সম্প্রসরণ অধিদফতর বগুড়া জানিয়েছে, এখনই আমন নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। যদি পানি দ্রুত নেমে যায়, তাহলে আবাদের কোন ক্ষতি হবে না। শুধু আমন নয় কয়েকটি এলাকায় শীতকালীন আগাম সবজি খেতেও পানি ওঠায় কৃষকদের চিন্তায় ফেলেছে।
×