স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের টিকা দেওয়ার আহ্বান মেয়র তাপসের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ টিকা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বৃহস্পতিবার মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ওরিয়েন্টেশন সভায় এই আহ্বান জানান তিনি। মেয়র বলেন, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের অধিনে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ শুরু হতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য সভাইকে আহ্বান জানাই। আর এই টিকাটা শিশুদের দিতে হবে। যারা টিকা প্রদান করবেন, তারা অবশ্যই বাচ্চাদের টিকা খাওয়ানোর সময় নিজেদের হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। টিকার জন্য অপেক্ষমাণদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। অর্থাৎ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের টিকা দিতে হবে। করোনাভাইরাসের সচেতনতার জন্য প্রয়োজনে মায়ের হাত দিয়ে টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান মেয়র। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে টিকা দান কর্মসূচিতে আমরা তিন মাস পিছিয়ে গেছি। অনেক বাচ্চাদের জন্ম অনুযায়ী টিকা দেওয়া জরুরি, সেই বিবেচনায় আমরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই শুরু করছি। যারা এই তিন মাসের মধ্যে বয়সের দিক বিবেচনায় বাইরে চলে গেছে, সেই বিষয়টা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সন্তানেরা যেন টিকা থেকে বঞ্চিত না হয়। শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে তাপস বলেন, ‘ভিটামিন এ দিয়ে দেওয়া মানেই মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানো লাগবে না—এ কথা যেন কোনও মা মনে না করে। বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার সময়, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে মায়েদের এই বার্তাটাও দেবেন যে, বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধের ওষুধ হিসেবে কাজ করে মায়ের বুকের দুধ। সেটা যেন অন্তত দুই বছর পর্যন্ত খাওয়ানো হয়, এর জন্য মায়েদের উৎসাহিত করবেন।’ ডিএসসিসির এই সভায় জানানো হয়, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ এ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৬-১১ মাস বয়সী ৫২ হাজার ১৭৬ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৬০টি ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের প্রমুখ।