নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ নাটোরের বড়াইগ্রামে আলোচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আয়নাল হক তালুকদার হত্যা মামলার রায় ১৮ বছর পর আজ ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে দুইজনের ফাঁসি প্রত্যকের দশ হাজার এক টাকা করে জরিমানা এবং বাকী ১১জনকে খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন। নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক এই রায় রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ,বনপাড়া পৌর এলাকার মহিষভাঙ্গা গ্রামের বাহার উদ্দিন মোল্লার ছেলে মোঃ তোরাব এবং পলান মোল্লার ছেলে শামিম।
আদালত ও নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসরাম জানান, ২০০২ সালে ২৮ মার্চ তৎকালীন উপজেলা বিএনএপির সভাপতি একরামুল আলমের নেতৃত্বে সাহের উদ্দিন সহ একদল বিএনপি নেতা কর্মি বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারে ডাঃ আয়নাল হক তালুকদারের চেম্বারে হামলা করে। এসময় বর্ষীয়ান এই নেতা আয়নাল হক তালুকদারকে টেনে হিচড়ে চেম্বার থেকে বের করে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করে। আয়নাল হকের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৩১ মার্চ আয়নাল হকের পুত্র বধূ বর্তমান পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তশেষে চার্জশীট প্রদানের পর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। অবশেষে ১৮ বছর পর আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার রায়ে বলা হয়, মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলা বিএনপির সভপতি একরামুল আলম এবং সাহের উদ্দিনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আয়নাল হক তালুকদারের মৃত্যু হয়। কিন্ত এই দুইজনসহ মামলায় অভিযুক্ত জিয়াউল হক সেন্টু এবং অলামদ্দিন মৃত্যু বরণ করায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেযা হয়।