স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার পূর্বাচলে শুরু হয়েছে দেশের আইকনিক বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ারের পাইলিংসহ নির্মাণ কাজ। বৃহস্পতিবার পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস লিঃ এর চেয়ারম্যান রিক হক সিকদার প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী এক্সপার্টদের নিয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। নির্মিতব্য আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতে ৫২তলা ভবন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ৭১তলা ভবন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিগ্যাসি স্মরণে ৯৬তলায় মিউজিয়ামসহ গড়ে উঠবে দেশের বৃহত্তম ১১১তলা ভবন। এই তিনটি আইকনিক ভবনের একত্রে নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ার। পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেজ ডিস্ট্রিক নামে রাজউকের আইকনিক টাওয়ার করার কাজটি দরপত্রের মাধ্যমে সিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন, জাপান যৌথভাবে নির্বাচিত হয়। ইতোমধ্যে প্রকল্পের মাটি পরীক্ষা, যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমীক্ষা প্রতিবেদন রাজউকে জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের খসড়া মাস্টারপ্ল্যান ও ডিজাইন রাজউক এ জমা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্মার্ট ও নান্দনিক আইকনিক টাওয়ারের এই ডিজাইনের জন্য রাজউক আন্তর্জাতিক একটি পুরস্কার লাভ করে। পরিবেশবান্ধব এই ভবনসমূহে সমগ্র দেয়ালজুড়ে লাগানো হবে বিশ্বের সর্বাধুনিক সোলার গ্লাস। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থা, বিদ্যুত, গ্যাস ও বিভিন্ন ইউটিলিটির জন্য করা হবে কমন ডাস্ট ব্যবস্থা। গ্রীন ভবনসমূহের বাউন্ডারি ওয়াল গড়ে তোলা হবে চীনের গ্রেট ওয়ালের আদলে ওয়াকওয়ে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রনিক বাস এবং আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়াকওয়েও থাকবে এখানে। এই ঐতিহাসিক টাওয়ারের আর্কিটেক্ট হিসেবে কাজ করছে বিশ্বখ্যাত হেরিম আর্কিটেক্ট। হেরিম বিশ্বের সেরা সাতটি আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠানের একটি এবং কোরিয়ার শ্রেষ্ঠ আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ারের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে প্রাথমিক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, গণপূর্তের প্রধান আর্কিটেক্ট, চীফ ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রকল্প পরিচালক তার সঙ্গে ছিলেন। আইকনিক ভবনসমূহের পাইলিংসহ বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে শুরু হল পূর্বাচলের ১৯ নম্বর সেক্টরের ১১১ নম্বর রোডের পাশে প্রকল্পের ৯০ হাজার ব.ফু. আয়তনের অস্থায়ী কার্যালয়ের নির্মাণ কাজ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: